থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে হাতে মেহেদি পড়নে লাল শাড়ী গোমটা দেওয়া কনের সাথে পাজামা-পাঞ্জাবী পড়া ও হাতে রুমাল নিয়ে লাজুক ভঙ্গিতে বর। আজ শনিবার সকালে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার আমেনা বেগম জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বরে-কনেকে আটক করে আনা হয়েছে।
বিয়ের কথা জানতে চাইলে কনে শিশু বলে,এর লাইগ্যা (বিয়ে) কি অইছে, আমি আবার আম্মার কাছে যাইয়ামগা-নে।
পুলিশ ও বর-কনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর হচ্ছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের গালাহার গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে মো. নাঈম (১৭)। তিরি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
শুক্রবার তাঁর বিয়ের দিন তারিখ ছিল পাশের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের খরিয়া গ্রামের নবী হোসেনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের (১২) সাথে। রাত আটটার পর বর আসেন কনের বাড়িতে।
অতিগোপনে খাওয়া-দাওয়ার পর স্থানীয় এক হুজুর দিয়ে দোয়া পড়িয়ে বিয়ে কাজটি সম্পন্ন করে রাত সাড়ে বারোটার দিকে কনেকে উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নান্দাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বর-কনেকে আটক করে থানায় আনে। রাতভর থানায় অবস্থানকালে গতকাল শনিবার দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করাবে না মর্মে দুই পরিবারের পক্ষে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পায়।