ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ সনাক্ত করতে পারলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পারাবত লঞ্চ কোম্পানীর স্থানীয় কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সাথে নিয়ে এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠে। লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেয়া হয় কামরুল। মুঠোফোন নম্বর দেয়া হয় ০১৭১১০২৫০৯২।
সোমবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষ ব্যক্তি নিহত নারীর ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না নিয়ে ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দ্রুত নেমে যায়। তার মুখমন্ডলে মাস্ক পরিহিত ছিলো। অন্যান্য সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পরও কেবিনে থাকা নারী না নামায় কেবিন বয়রা তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা নৌ পুলিশে খবর দেয়।
ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষ ব্যক্তি এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করছেন পারাবত-১১ লঞ্চের প্রথম শ্রেনীর মাস্টার মো. শামীম।
খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সিআইডি’র ক্রাইমসিন বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর মৃত দেহ সহ খুটিনাটি সব বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
বরিশাল সিআইডি’র ক্রাইমসিন ইউনিটের পরিদর্শক আল-মামুনুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে ধর্ষন শেষে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং তার গলায় শ্বাস রোধের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা তাদের।
ওই নারীর সাথে থাকা ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়নাও সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিয়ে গেছে এবং ওই নারী বরিশাল অঞ্চলের নয় বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার সরকারি কমিশনার মো. রাসেল।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিন জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান জানান, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করে ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন পুরুষ ব্যক্তিকে পুলিশ সনাক্ত করেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাৃস টার্মিনালে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান।