চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার গুঞ্জনে নাটকীয় ভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দেওয়ায় এ নতুন মেরুকরন সৃষ্টির আভাস ইঙ্গিত ফুটে ওঠে।
নিজ এলাকার চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তার নৌকার টিকিট প্রত্যাশা স্থানীয় রাজনীতিতে নানা কৌতুহল ও প্রশ্নের উদ্রেক করে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরপর দু’বার বিপুল জনরায় নিয়ে নির্বাচিত এ চেয়ারম্যানের নিজ ইউনিয়নে শক্ত ভিত ও জনপ্রিয়তা থাকার পরেও কেন তিনি হঠাৎ করে পৌরসভার ‘মেয়র’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ নিয়ে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি ‘টক অব দ্য নিউজে’ পরিণত হয়েছে। মেয়র পদে নির্বাচন করতে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ ও ভোটার স্থানান্তর করে স্থায়ীভাবে পৌর শহরে ঘরবসতি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের বন্দর বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু। এর পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা ডালপালা মেলে।
রাজনৈতিক সচেতন মহল ও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থীরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও নাটকীয় ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও মেয়র পদে নৌকার টিকিট প্রত্যাশী যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন বর্তমান মেয়র ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, হ্যাটট্রিক বিজয়ী সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন মাখন,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু,আওয়ামী লীগ নেতা ডা. খোরশেদ আলম সেলিম,উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান দুলাল প্রমুখ।
অপরদিকে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ৩ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে অর্ধশত প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।