November 23, 2024, 10:51 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

হালুয়াঘাটে পোকা দমনে বিষের বিকল্প আলোক ফাঁদ।

তাপস কর, ময়মনসিংহ
  • আপডেটের সময় : বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
  • 291 দেখুন
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় কৃষি বিভাগ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিষ বা কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলতি আমন মৌসুমে ধানের ক্ষতিকর পোকা মাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দমন করার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে ছুটছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের ধারা ব্লকে গিয়ে দেখা যায় কৃষক নাজমুলের বাড়িতে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ব্যস্ত আলোক ফাঁদ তৈরিতে।​
আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহারে সন্ধ্যা বেলায় বৈদ্যুতিক বাল্ব টাঙানো হয়। বাল্বের নিচে পাত্র রাখা হয়। ওই পাত্রের মধ্যে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি থাকে। আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আলোর কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়।​
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধান গাছে ক্ষতিকর বাদামি ঘাসফড়িং, সবুজ ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধী পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে। এর মধ্যে বাদামি ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা সবচেয়ে ক্ষতিকর।
এ পোকা যে গাছে আক্রমণ করে, সেই গাছের শিষ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ফলন কমে যায়। অনেক সময় ফলন নেমে আসতে পারে শূন্যের কোঠায়। তাই কৃষকদের এই প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট করতে প্রতি মঙ্গলবার রাতে কৃষকদের ফসলের জমিতে কৃষি কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম চালাবেন।
ধারা ইউনিয়নের কৃষক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। আমরা ক্ষেতে যে পরিমাণ বিষ প্রয়োগ করি তাতে ধান উৎপাদনে খরচ অনেক বেশী হয়। আমি এই পদ্ধতি দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। আমি এখন থেকে নিয়মিত এই পদ্ধতি ব্যবহার করবো।​
আরেক কৃষক হামিদ আলী বলেন, আমরা যদি সকল কৃষক এই পদ্ধতি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের খরচ অর্ধেকের কমে নেমে আসবে। আমিও এই পদ্ধতি দেখে বাজার থেকে তার ও বাল্ব কিনে নিয়ে এসেছি।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশে প্রতিটি কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোক ফাঁদ এর উপকারিতা সম্পর্কে বলছি। কৃষকরাও আমাদের এই পদ্ধতির উপকারিতা দেখে সারা দিচ্ছেন। আসা করছি সকল কৃষকদের এই আলোক ফাঁদ এর আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান মুঠো ফোনে এই প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষকদের যেন ধান উৎপাদনে খরচ কম হয় সে লক্ষ্যে আমরা প্রতি মঙ্গলবার হালুয়াঘাট উপজেলার সবগুলো ব্লকে একযোগে এই কার্যক্রম চালু করেছি।
প্রতিটি ব্লকে আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের এই আলোক ফাঁদ তৈরিতে সহায়তা করছেন। হালুয়াঘাট উপজেলার সকল কৃষকগণ আলোক ফাঁদের উপকারিতা সম্পর্কে যেন বুঝতে পারে, সে জন্য উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ইতিমধ্যেই আমরা হাতে নিয়েছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102