পুলিশ রাতেই আসামীদের পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে মামলা দায়েরের খবর আগেভাগেই জেনে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে বখাটে মামা-ভাগ্নেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন জানান।
মামলা সুত্রে জানা গেছে বানারীপাড়া পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের মেয়ে উজিরপুরের গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী (১৮) ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাসা সংলগ্ন বন্দর বাজারের ফেরী ঘাটের শহর রক্ষা বাঁধের ওপর এক বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যায়।
এসময় সেখানে বখাটে জিসান ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে নাম ধরে ডাকাসহ যৌন হয়রানী করে। ওই কলেজ ছাত্রী এর প্রতিবাদ করায় দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে বখাটে জিসান মুঠোফোনে তার মামা মেহেদী হাসানকে ডেকে আনে। মেহেদী ঘটনাস্থলে আসার পূর্বে ওই কলেজ ছাত্রী বাসায় চলে যায়।
পরে মেহেদী ওই কলেজ ছাত্রীর বাসায় গিয়ে এ বিষয়টি কাউকে না জানাতে এবং মামলা না করতে তার পরিবারকে শাসিয়ে আসে। এসময় সে কলেজ ছাত্রী ও তার পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকিও দিয়ে আসে।
ফলে ওই ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ায় ওই দিন রাতেই ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম তার মেয়েকে নিয়ে থানায় ওসির কাছে গেলে সেখানে উপস্থিত থানা পরিদর্শনে আসা বরিশাল জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (উজিরপুর সার্কেল) মো. জাফর আহম্মেদ বিষয়টি শুনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ দেন।
ফলে ওই রাতেই মামা-ভাগ্নেকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। এদিকে ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদী ও ভিকটিমসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্য নিয়েছেন। প্রসঙ্গত আসামী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।