
মুহম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয়ঃ এক সময়ের সুনাম অর্জনকারী দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ অমৃত লাল দে কলেজ। চলতি বছরে অবৈধ গভর্নিং বডি কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরিবারতান্ত্রিক মনগড়া কমিটি করা হয়েছে। যেখানে সকলের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের দু বছর মেয়াদের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি গভর্নিং বডি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বরিশালের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং সদস্য সচিব কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুল হক। এছাড়াও কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দাতা হিসেবে রয়েছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা অমৃত লাল দে’র দুই ভাই বিজয় কৃষ্ণ দে ও রাখাল চন্দ্র দে। কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী সদস্য, হিতৈষী সদস্য, অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা
অমৃত লাল দে’র তিন ভ্রাতুষ্পুত্র ভানু লাল দে, তন্ময় দে, রাহুল দে। পরিবারের বাহিরে কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী সদস্য দিলয়ারা লিলি, পংকজ রায় চৌধুরী, অভিভাবক প্রতিনিধি নন্দিতা কর্মকার, রাবেয়া আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধি ড. মোঃ সাইফুল্লাহ, সমীরণ সিকদার, বিলকিস আক্তার এবং চিকিৎসক সদস্য ডা. বিপ্লব কুমার দাস। কলেজটিতে ডিগ্রি ও উচ্চ মাধ্যমিক থাকার কারণে দুটি কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের । কিন্তু এই দুটি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি গঠনের যে বিধিমালা সেটি লঙ্ঘন করেই এই কমিটি করা হয়েছে। ‘ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি ( সংশোধিত) সংবিধি- ২০১৯ এবং ‘ বরিশাল শিক্ষাবোর্ড প্রণিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা – ২০২৪ ‘ নিয়মের পরিপন্থি। ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পুরো কমিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি- ২০১৯ অনুসরণ করা হলেও মানা হয়নি কোন বিধি করা হয়নি কোন নির্বাচন।
কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিযুক্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি ( সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৪ ধারার (iii) উপধারায় বলা রয়েছে,” বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডি কমিটি গঠন করতে হলে তিনজন মনোনীত বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি থাকতে হবে। প্রথম জনকে মনোনীত করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দ্বিতীয় জনকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, তৃতীয় জনকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। সবার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী হইতে হবে এবং মনোনয়নের ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ অগ্রাধিকার পাইবেন। ” এবারের কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী সদস্য যথাক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দিলয়ারা লিলি, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভানু লাল দে, শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পংকজ রায় চৌধুরীকে রাখা হয়েছে। দিলিয়ারা লিলি বাদে বাকি দুইজন বিগত কমিটিতে বারে বারে রয়েছেন। তবে এই তিনজনের কাউকে কর্তৃপক্ষ মনোনীত করেনি এবং তাদের অগোচরে মিথ্যা ও বানোয়াট ভাবে কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, দিলিয়ারা লিলি, পংকজ রায় চৌধুরী তারা জানিয়েছেন, ” তারা যে এবারের কমিটিতে আছেন, তারা সেটি জানেন না। তাদের মতামতের বাহিরেই তাদের রাখা হয়েছে। ” কোন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক না হয়েও বিগত কমিটিগুলোতে বারে বারে থাকা ভানু লাল দে’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশের উপ- পরিচালক মোঃ নওসের আলী বলেন,” শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কাউকে মনোনীত করা হয়নি। আর এগুলো আমাদের আওতাভুক্ত নয়। যেহেতু আমাদের অগোচরে শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখব। ” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সিকদার সময়ের জানান ,” এভাবে কাউকে মনোনীত করা হয়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মবহির্ভূত কমিটি অবৈধ। এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ” বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন,” অমৃত কলেজের গভর্নিং বডি কমিটির ব্যাপারে, এখন পর্যন্ত বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কাউকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়নি বা আমাদের কাছে কোন আবেদন আসেনি। একই ব্যক্তি বারে বারে থাকার কোন সুযোগ নেই। আমি থাকাকালীন নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ হতে দেবনা।”
অবৈধ হিতৈষী সদস্য পদায়ন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি ( সংশোধিত) সংবিধি – ২০১৯ এর ২ ধারার (ড) উপধারায় বলা রয়েছে, ” গভর্নিং বডি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ন্যূনতম ৪৫ দিন পূর্বে গভর্নিং বডি / এডহক কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া হিতৈষী লক্ষ্যে ৩০ দিনের সময় দিয়ে অধ্যক্ষ নোটিশ জারি করিবেন।” অথচ কোনরকম নির্বাচন তফসিল ঘোষণা বা নোটিস ছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক বিগত কয়েকটি কমিটিতে থাকা তন্ময় দে কে হিতৈষী সদস্য নির্বাচিত করেছেন। হিতৈষী সদস্য হওয়ার জন্য ৫০,০০০ টাকা জমাদানের নিয়ম থাকলেও কোন টাকা জমা দেননি তন্ময় দে। এই বিষয় জানতে চাইলে তন্ময় দে বলেন,” এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ জানেন। তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। “
শিক্ষকদের ভোটহীন শিক্ষক প্রতিনিধি
গভর্নিং বডির ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি ( সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৪ ধারার (i) তে বলা রয়েছে, ” বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুসরণ-পূর্বক নিয়োগকৃতপূর্নকালীন/ নিয়মিত এমপিওভুক্ত না হইলেও শিক্ষকগণের ভোটে দুই বছরের জন্য শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হইবেন। ” নিয়মে স্পষ্ট নির্বাচনের কথা উল্লেখ থাকলেও কোনরকম নির্বাচন ছাড়াই পছন্দের মানুষদের এবারের কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি করা হয়েছে। এরা হলেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল্লাহ, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সমীরণ সিকদার, বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিলকিস আক্তার। এসকল শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,” এই বিষয়ে তারা অবগত নন। কলেজ অধ্যক্ষ অবগত। এই ব্যাপারে তারা মন্তব্য করতে রাজি নন। ” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজে কর্মরত একাধিক শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ” বিতর্কিত শিক্ষকদেরকে দিয়ে এবারে কলেজ প্রশাসনের প্রাণ গভর্নিং বডি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ কোন শিক্ষকের মতামত নেয়া হয়নি। এর আগের কমিটিগুলোতে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অধ্যক্ষ কর্তৃক মনোনয়ন আহ্বান থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নির্বাচন
হতো এবং তা আইনিসিদ্ধ ছিলো কিন্তু এবারে তা কিছুই হয়নি। সাধারণ শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষা করে, এরকম স্বজনপ্রীতিমূলক কমিটি কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করবে। “
অভিভাবক না হয়েও অভিভাবক প্রতিনিধি
গভর্নিং বডির ৩ জন অভিভাবক প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত আইন অনুসারে, ” পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির তত্ত্বাবধানে ও কলেজ অধ্যক্ষের নোটিস জারির মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। কলেজে যারা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের পিতা- মাতা অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন। কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের বাহিরে কেউ অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবে না।” কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কোন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছাড়া নিজস্ব লোকজনদেরকে অভিভাবক প্রতিনিধি করেছে অমৃত পরিবার। যাদের কোন সন্তান অমৃত কলেজে, তারা কমিটিতে থাকাকালীন শিক্ষার্থী ছিলো না। একই ধারাবাহিকতা এবারের কমিটিতেও বিদ্যমান রয়েছে। অমৃত পরিবারের উত্তরসূরী রাহুল দে কে এবারের কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি করা হয়েছে অথচ তার কোন সন্তান কলেজের শিক্ষার্থী নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ / শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি ( সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৪ ধারার (ii) তে বলা রয়েছে, ” কলেজের কোন কর্মচারী কোন ছাত্র/ছাত্রীর বিধিসম্মত অভিভাবক হইলে তিনিও বিধিসম্মত অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হইতে পারিবেন না। ” অথচ এই বিধিকে স্পষ্ট লঙ্ঘন করে অমৃত কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন চন্দ্র পালের সহধর্মিনী নন্দিতা কর্মকারকে অভিভাবক প্রতিনিধি করা হয়েছে। একইসাথে অমৃত লাল দে কলেজের অফিস সহায়ক মোঃ জালাল হাওলাদারের সহধর্মিনী রাবেয়া আক্তারকে অভিভাবক প্রতিনিধি করা হয়েছে। নব্য কমিটির এই দুই অভিভাবক প্রতিনিধির সন্তানেরা কলেজে অধ্যয়নরত থাকলেও, তারা আইন বহির্ভূতভাবে অভিভাবক প্রতিনিধি হয়েছেন কোন নির্বাচন ছাড়া। এই বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ,” এই বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ জানেন। কলেজের উপরমহলের সিদ্ধান্তে এমন হয়েছে। তারা এতে আগ্রহী ছিলেন না। ”
কলেজে অধ্যনরত একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,” পছন্দের মানুষদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে অথচ এগুলো ন্যায্য অধিকার প্রকৃত অভিভাবকদের। কয়েক মাস আগে অভিভাবক সমাবেশ করা হয়েছে। তখন তারা চাইলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারতেন কিন্তু সেটি করেনি। কলেজে বর্তমানে পড়ালেখার যে অবস্থা এবং এবারের এইচএসসি পরীক্ষার কলেজের ফলাফল দেখে রীতিমত দুশ্চিন্তায় রয়েছি। যে আমাদের সন্তানরা একই ফল আগামীতে করে কিনা। কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বসের পিছনে অন্যতম দায়ী কলেজ পরিচালনা। যে কলেজ পরিচালনা কমিটিই হয় অবৈধভাবে তাদের থেকে ভালো কিছু আশাকরা যায়না। এরকম একটি প্রাইভেট কলেজে শুধু টাকাই নিচ্ছে, প্রাপ্ত সেবা টুকু তারা দিচ্ছে না। ” এই প্রতিবেদনের তদন্ত চলাকালীন কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন,” তাদের কাছ থেকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষার জরিমানার নাম করে হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। ” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে, গভর্নিং বডি গঠনের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হয় কলেজ অধ্যক্ষকে যেখানে নির্বাচনী প্রধান অথচ কোনরকম নির্বাচন ছাড়া কিভাবে এমন কমিটি গঠন করা হলো সেই বিষয়ে জানতে চাইলে অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুল হক বলেন,” যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আপাদত কোন মন্তব্য করতে চাইছি না। ” এই বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,” কর্তৃপক্ষের প্রণীত নিয়মের বাহিরে কোন কমিটি হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে সত্যতা পেলে কমিটি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ” উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও মাত্র ৬৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। যাদের বেশিরভাগ জিপিএ ফাইভ নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলো। একসময়ের সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান বেহাল অবস্থার জন্য মূলত কলেজের গভর্নিং বডি ও কলেজ শিক্ষকদের বাণিজ্য দায়ী। উভয়ের সঠিক পরিচালনার অভাবে দিনে দিনে হারাচ্ছে অর্জিত ঐতিহ্য। এমনটাই দাবী বরিশাল সচেতন মহলের।