
বিডি ২৪ অনলাইন নিউজ: আশিয়ান গ্রুপের বিরুদ্ধে জমি দখল, প্লট জালিয়াতিসহ অসংখ্য অভিযোগ পাহাড় ছুঁয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নামও জড়িয়ে আছে বহু অপকর্মের সঙ্গে। তার নামে শুধু গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হত্যা মামলাই আছে ২৩টি। এছাড়া গুম, চাঁদাবাজিসহ বহু কুকর্মে তার জড়িত থাকার কথা শোনা যায়। এসবের বাইরে তিনি হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণগ্রহীতাদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে আসিয়ানের এমডি নজরুলের ৯৮২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আশিয়ান এডুকেশনের নামে আছে ৬৪৬ কোটি টাকা।
নানা অনিয়ম-জালিয়াতির কারণে আশিয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সম্প্রতি নজরুলের প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা জারি করে সংস্থাটি। তবে বিষয়টি গায়ে মাখেননি তিনি। ফের জমি দখল, সীমাহীন প্রতারণা, জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজউক, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করলেও দিব্যি ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন নজরুল। তার প্রতিষ্ঠান আশিয়ান সিটির আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা পাননি দক্ষিণখান মৌজার ভূমি মালিকরা। এছাড়া তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতন, দখল, চাঁদাবাজি, বসতবাড়ি ভাঙচুর, জাল দলিল, জোড় করে গেট নির্মাণ, রাস্তা তৈরিসহ বহু অভিযোগ আছে। এ জন্য তাকে ভূমিখেকো উপাধি দিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা নজরুলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ আছে, আশিয়ান গ্রুপের নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ও আশিয়ান সিটির গ্রাহকদের টাকা ব্যবহার করে রাজকীয় জীবনযাপন করছেন ভূমিখেকোখ্যাত নজরুল। জমি দখল করে প্লট বিক্রির নামে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিলেও তারা প্রতিশ্রুত প্লট বা ফ্ল্যাট পাননি। ফেরত দেওয়া হয়নি টাকাও। আবার তারা নজরুলের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কারো কাছে অভিযোগও দিতে পারছেন না। আশিয়ানের ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে এবি ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রুপের সব ঋণের অবস্থাই খারাপ। পুরো ঋণই এখন খেলাপি। আমরা যোগাযোগ করেও তার সাড়া পাচ্ছি না।’
আশিয়ান গ্রুপের ঋণের জাল
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশিয়ান গ্রুপ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে ছয়টি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আশিয়ান গ্রুপের কাছে এখনো খেলাপি ঋণ হিসেবে এবি ব্যাংকের ৪০৪ কোটি ৬১ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৯০ কোটি ৯০ লাখ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কোটি ২৬ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১০০ কোটি, ইসলামী ব্যাংকের ৩৪৩ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১৫ কোটি এবং সোনালী ব্যাংকের ৫ কোটি ৫০ লাখসহ ৯৮২ কোটি টাকা আছে। এর মধ্যে আশিয়ান এডুকেশনের নামে খেলাপি ৬৪৬ কোটি টাকা।
প্লট বিক্রিতে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার আলোকে অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আশিয়ান সিটি প্রকল্পের সব ধরনের বিজ্ঞাপন, বিক্রয় ও প্রচার কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজউক। চলতি বছরের গত ৮ আগস্ট সংস্থাটির নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখার উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ-১ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিসে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাজউকের নোটিসে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার দক্ষিণখান মৌজায় গড়ে ওঠা আশিয়ান সিটি প্রকল্প এখনো অনুমোদন পায়নি।
এক আদেশে সুপ্রিম কোর্ট ৩৩ একর জমিতে আবাসিক উন্নয়নের অনুমতি দিলেও প্রতিষ্ঠানটি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও অনলাইনের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লট বিক্রি করছে, যা আইনত অবৈধ। ২০০৪ সালের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা (সংশোধিত ২০১১ ও ২০১৫) এবং ২০১০ সালের রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া কোনো জমি বিক্রি, হস্তান্তর বা বিজ্ঞাপন প্রচার করলে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
রাজউক জানায়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা না দিলে প্রকল্পের সব বিজ্ঞাপন, বিক্রয় কার্যক্রম ও সাইনবোর্ড জোরপূর্বক সরিয়ে ফেলা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘ভূমিখেকো’ নজরুলের পকেটে
ও জালিয়াতির অভিযোগে আশিয়ান সিটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে প্রতিষ্ঠানটি আবার জমি দখল ও বিক্রির চেষ্টা শুরু করে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাজউক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, প্রকল্পে আশিয়ান সিটির যে পরিমান জনি আছে, মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তার চেয়ে ১০ গুণ। নিজস্ব জমি যেটুকু দাবি করা হচ্ছে তার বড় অংশই দখল করা। আশিয়ান সিটির জন্য আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের কেনা জমি পাওয়া গেছে ৩১৮০ কাঠার (১৫৯ বিঘা) মতো। কিন্তু প্লট বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার কাঠারও বেশি। প্লট বিক্রি করে আশিয়ান সিটি দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, ২০০৫ সালে প্রকল্পের জন্য রাজউক ও ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে ৪৩ একর জমির অনুমোদন নেয় আশিয়ান সিটি। পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমির পরিমাণ ১ হাজার ১৯৭ একর করে রাজউক ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়া হয়। বায়বে এই পরিমাণ জমি কখনোই প্রকল্পে ছিল না। আশিয়ান সিটি ক্রেতাদের কাছে বহু বায়বীয় ঘট বিক্রি করেছে।
‘বেআইনি’ এই প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালতও। ২০১১ সালে আটটি পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোট আশিয়ান সিটি প্রকল্পকে অবৈধ বলে রায় দেয়। পরে হাইকোর্টেরই আরেকটি রিভিউ বেঞ্চ প্রকল্পটিকে বৈব ঘোষণা করলে রিট আবেদনকারীরা আপিল বিভাগে যায়।
আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের আগস্টে হাইকোটের রিভিউ বেঞ্চের রায়ে দুথিতাদেশ দিয়ে আশিয়ান সিটির সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে। সরকারি জমি দখল করায় মামলা,
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত এলাকার ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস জমি দখল করে বালু ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপনেন্ট লিমিটেডের এমডি নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামূল আহসান গাজী বাদী হয়ে গত বছরের ১ এপ্রিল মামলাটি করেন। ভূমি দখল ও বসতবাড়ি উচ্ছেদের অভিযোগ,
আশিয়ান সিটির নামে নজরুলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি হলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, নজরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বসতবাড়িসহ ভূমি দখলের পাঁয়তারা করছে। আমরা আশিয়ান সিটির প্রতারণার শিকার ও মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরকম শত শত মানুষের জমি দখল করেছে আশিয়ান সিটি। নজরূল বাহিনীর নির্যাতন, অত্যাচার, হয়রানি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, উচ্ছেদ, জাল দলিল, অনোর জায়গায় রায়া নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন আগ্রাসনের শিকার ভূমি মালিকরা। তার হাত থেকে দক্ষিণখান মৌজার তুমি মালিকদের জমি-ভিটেমাটি ও প্রাণ রক্ষার শুন্য মিনতি জানাচ্ছি। আপনাশের ভয়ে নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভূমিখেকো নজরুল রাজধানীর খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। পদ ছোট্ট হলেও তার হাত লম্বা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। এছাড়া ফ্যাসিবাদী দলটির কয়েক এমপি, মন্ত্রী, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই কর্মকর্তা, পুলিশের আইজি, ডিবি প্রধানসহ অনেক হর্তাকর্তার সঙ্গে তার খাতির ছিল। তাদের প্রভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ভূমি ও ব্যাংক খাত।
আরো বলেন, আশিয়ান সিটির জমি দখল এবং নজরুলের চাঁদাবাজির জন্য ছিল ভাড়াটে সন্ত্রাসীর দল। এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্যতম হলেন- আব্বাস আলী, ওলীউল্লাহ, রাশেদুল, নুরুল্লাহ, ফাহিম, আনিস, জিহাদ, নূরুল, সাইফুল, ভজাহিদুল, মজিবর ও রিয়াজ। বিএনপিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন মানায় ২৩টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশিয়ানের নজতুল। তার বিরুদ্ধে বিএনপিকর্মী হত্যার মামলাও আছে। এরপরও জুলাই বিপ্লবের পর তিনি জাতীয়তাবাদী সাজার চেষ্টা করছেন। তাকে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে দলটির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, বিএনপি মনোনীত সাবেক এমপি মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর বিএনপির আহতরক আমিনুল হকের নাম ব্যবহার করে এলাকায় নতুন করে প্রভাব বিমার করছেন আশিয়ানের নজরুল। তাদের মধ্যে কামকূলের পৃষ্ঠপোষকতার বেপরোয়া হয়ে উঠছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। এই বিএনপি নেতাদের প্রভাবে অনেক ভুক্তভোগীকে হয়রানি করছেন নজরুল। তিনি সংবাদ সম্মেলন করতেও বাধা দেন।
আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক আনোয়ারা মায়া। তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারও করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা। তিনি বলেন, নজরুল খিলক্ষেতের বড়য়া দক্ষিনপাড়ায় আমাদের এক বিঘা জমি দখল করেন। এই জমির দলিল, নামজারি, খাজনাসহ সব কাগজপত্র আমার মায়ের নামে। এটি দখল করতে গিয়ে আমার মামাকে তারা হত্যা করেছে। ওই ঘটনাসহ বিভিন্ন অপকর্ম গণমাধানে প্রকাশ করার চেষ্টা করলে মিথ্যা মামলায় আমার মাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। নজরুলকে পুনর্বাসনের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির নেতা আমিনুল বলেন, নজরুলের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি বা তার সঙ্গে কোনো সম্পর্কও নেই। জুলাই বিয়াবের সময় আশিয়ান গ্রুপের একটি গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে আমাকে ডেকেছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সেখানে বিএনপির কয়েক কেন্দ্রীয় নেতাও ছিলেন। এজন্যই গিয়েছিলাম। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা জানার পর ওই গ্রুপের কারো সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখিনি।
জমি দখল, বসতি উচ্ছেদ, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা ও ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল বলেন, রাজউকের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো নোটিস আমরা পাইনি। আর সুপ্রিম কোর্টও আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আর ইউনিয়ন ব্যাংকে ১৫ কোটি, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে ৩৫ কোটি, এবি ব্যাংকে ১৪০ কোটি এবং ইসলামী ব্যাংকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ আছে। আমার আর কোনো ঋণ নেই, আমি খেলাপিও নই। দুদকের মামলাটিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।