টাঙ্গাইলে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে ২৫ গ্রামের মানুষ
প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৩২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে এলাংজানী নদীর ওপর নির্মিত এসডিএস সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে টাঙ্গাইল-তোরাবগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫ গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সেতুর পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এতে করে পশ্চিম টাঙ্গাইলের কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভোরে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
জানা যায়, সদর উপজেলার চলাঞ্চলে হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী, মাহমুদনগর এবং সিরাজগঞ্জের চোহালির একটি অংশ এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। টাঙ্গাইলের চারাবাড়ি তোরাবগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে যমুনার শাখা নদী এলাংজানী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে পড়ে। ফলে তোরাবগঞ্জ, চারাবাড়িসহ অন্তত ২০-২৫ গ্রামের মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আব্দুর রশীদ নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই তিনবার অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে। এই সেতুর নিচ দিয়ে শুকনো মৌসুমে বালু উত্তোলন করা হয়। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে অ্যাপ্রোচ সড়ক বারবার ভেঙে পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মিয়া বলেন, ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কারণ যেহেতু ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো ব্রিজ অথবা বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা নেই। তাই বিষয়টি আমরা সবার সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
এ সময় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, পশ্চিম টাঙ্গাইলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য দ্রুত ব্রিজের কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ভোরে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখা গেছে, ব্রিজের পশ্চিম পাশে শতাধিক মানুষ শহরে আসার জন্য অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের যোগাযোগের জন্য দ্রুত বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে।