রবিবার ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   রবিবার ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ



পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না
দেশ-বিদেশে প্রপাগান্ডা চালানোই তাদের মূল হাতিয়ারsharethis sharing button
পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান পার্বত্যাঞ্চল। ফাইল ছবি

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না। এ কারণে দেশ-বিদেশে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানোই তাদের মূল হাতিয়ার। বান্দরবানের চন্দ্রপাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল ম্যারিয়ট নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো অব্যাহত রেখেছে। এটি নির্মাণ হলে পার্বত্যাঞ্চলের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের পর্যটকের ভিড় বাড়বে। প্রকল্পটি বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন জীবননগর চন্দ্র পাহাড়ে অবস্থিত।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এই পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের পক্ষে। তারা বলেন, আধুনিক যুগে থেকেও আমরা পিছিয়ে আছি দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কারণে। জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূল এই দুটি সংগঠন মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করছে পার্বত্যাঞ্চলে। চাঁদাবাজি ও তাদের অস্তিত্ব টিকে না থাকার আশঙ্কায় তারা পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী আরো বলেন, পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণে আমাদের কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি। বরং এটি নির্মিত হলে এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে।

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এটি আকর্ষণীয় স্থান। কিন্তু পাঁচ তারকা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টসহ নানা অবকাঠামোর অভাবে অনেক পর্যটক এখানে যেতে পারেন না। পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে ২০১৫ সালে ২০ একর জমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশে বিরোধিতায় নেমেছে দুই সংগঠন জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূল।

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন বিকাশের বিরোধিতায় দুটি সংগঠন

সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হলে তাদের কর্তৃত্বের অবসান ঘটবে বলে তারা অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দিতে চায় না। এই দুই সংগঠন মাসে মোটা অঙ্কের টাকার চাঁদা আদায় করে পার্বত্যাঞ্চলে। আর এই টাকার ভাগ কতিপয় বুদ্ধিজীবী ও এক শ্রেণির রাজনীতিবিদরা পান। এ কারণে জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূলের পক্ষে বিভিন্ন সময় তারা কথা বলেন, বিবৃতি দেন। এই অবস্থার অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা বলেন, আমরা শান্তি চাই, এক সাথে বাঁচতে চাই।

বান্দরবানের চন্দ্রপাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল প্রকল্পটির জমির পরিমাণ ২০ একর, যা স্বার্থন্বেষী মহল কর্তৃক ১০০০ একর দাবি করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত প্রকল্পের ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বসতি নেই। উক্ত প্রকল্পের ফলে ১০ হাজার জনগোষ্ঠী উচ্ছেদ হবে বলে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে পার্শ্ববর্তী চারটি পাড়ায় সর্বমোট জনবল ৮১৭ জন এবং তাদের মধ্যে কারোর বাস্তুচ্যুত হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। নিকটবর্তী দোলাপাড়া চন্দ্রপাহাড় হতে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই গ্রাম/পাড়া উচ্ছেদ কিংবা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কবরস্থান নষ্ট করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।

 

উক্ত এলাকার ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বাঙালি জনবসতি নেই এবং বাঙালি একক মালিকানাধীন কোন প্রকল্পও নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১০০০ থেকে ১৫০০ জন উপজাতি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বান্দরবান উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

পার্বত্যাঞ্চলে হত্যা করা হচ্ছে মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের

 

 

অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত, পাহাড়ি জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং পাহাড়ি জনগণের উৎপাদিত কৃষি পণ্য আগত পর্যটকদের কাছে ন্যায্যামূল্যে বিক্রয় করতে পারবে। দোকান ও রেস্তোঁরা ব্যবসার মাধ্যমে স্থানীয় উপজাতীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম উক্ত এলাকায় বেগবান হবে বিধায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিও উন্নয়ন হবে। সার্বিকভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হবে।

 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত ও নেপালে হিমালয় পর্বতমালাকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। বর্তমান সরকার যখন পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তখনই পর্যটনবান্ধব একটি প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী

ইমেইল: nomanibsl@gmail.com

মোবাইল: 01713799669 / 01712596354

 

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।

© বিডি ২৪ নিউজ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  টেইলার্সের কারখানা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার   পটুয়াখালীতে র‍্যাবের গাড়ি ও বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন   বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের হাজিপুর সেতুতে নির্ধারিত টোলের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়   মেহেন্দীগঞ্জে জেলেদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ,নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার   বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পর বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্তে আনন্দে নগরবাসী   বরিশালের ৬টি আসনে হেভিওয়েটের ছড়াছড়ি, থাকছে বিদ্রোহীর শঙ্কা   বরগুনায় সমাজসেবা উপপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ   বিএনপি নেতা লিটনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা   পটুয়াখালীতে ‎৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা   সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১১ জেলের কারাদণ্ড   ভোলা উপকূলে ‘মা’ ইলিশ রক্ষায় রেড অ্যালার্ট, জেলেদের ঋণের কিস্তি নেয়ায় নিষেধাজ্ঞা   বরিশালে ভুয়া জেলে কার্ডের ছড়াছড়ি,প্রকৃত জেলেরা দুর্দশায়   বরিশালে উচ্ছেদ হলো আদালতের ন্যায়কুঞ্জে গড়া হোটেল   আমতলীতে ১৬ শিক্ষক-কর্মচারীর মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ১৫   বরিশালে বিএনপি নেতাসহ দুই ভাইয়ের ধর্ষণে এক গৃহপরিচারিকা অন্ত:সত্ত্বা   ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা   খুলনায় গুলি করে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা   বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করতে জাল নোট তৈরি, আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা ফাঁস!   খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় তিন মামলা   টেকনাফ থেকে নারী-শিশুসহ ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার
Translate »