শুক্রবার ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   শুক্রবার ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


অরক্ষিত বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে অফিস খুলে ধরা রফিকুল ইসলাম
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে অফিস খুলে ধরা রফিকুল ইসলাম

বিডি ২৪ অনলাইন নিউজ: বরিশাল লঞ্চঘাটসংলগ্ন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস—দেখতে একদম সরকারি কার্যালয়ের মতোই নিরিবিলি। বাইরে পুরোনো দেয়ালে সাইনবোর্ডে লেখা “ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস।” কিন্তু সেই সাইনবোর্ডের ভেতরে বহু বছর ধরে জমেছে অনিয়ম, অদক্ষতা আর অজস্র রহস্য। সর্বশেষ ঘটনায় নাম এসেছে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কারিগরি উপদেষ্টা) রফিকুল ইসলাম হাওলাদার-এর। সরকারি ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে অফিসে প্রবেশ করে ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটির অভিযোগে এখন তিনিই তদন্তের মুখে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও প্রশ্ন উঠেছে বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরটি আসলে কতটা নিরাপদ? গত শনিবার সকাল। সরকারি ছুটির দিন। অফিস বন্ধ থাকার কথা, গেটে তালা থাকার কথা। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নয়টার দিকে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম হাওলাদার অফিসের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন বহিরাগত ব্যক্তি। স্থানীয়ভাবে তাদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা গেছে—অলি নামের এক সাবেক সার্ভেয়ার, যিনি কিছুদিন আগেই নারায়ণগঞ্জে বদলি হয়েছেন। বাকি তিনজনের পরিচয় পরে জানা যায়, তারা ভোলা জেলার বাসিন্দা। সূত্র জানায়, রফিকুল অফিসে ঢোকার পর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ফাইল ও কাগজপত্র ঘেঁটেছেন। একপর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তখন দেখা যায়, সরকারি নথিপত্র ছড়ানো অবস্থায় কয়েকজন টেবিলের পাশে বসে কিছু লিখছেন। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে রফিকুল হাওলাদার উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং প্রশ্নের জবাবে বলেন, “কিছু কাজ আছে, তাই এসেছি।” কাজের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি আর কোনো উত্তর না দিয়ে দ্রুত অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সদস্যরা রফিকুলসহ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মো. নাসিম বলেন, “সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিসে ঢুকে ফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা আইনে নিষিদ্ধ। খবর পেয়ে আমরা সবাইকে থানায় নিয়ে আসি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।” কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো—এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে দেখবেন।” তবে স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, “উর্ধ্বতন মহল থেকে ফোন আসার পরই” ওই পাঁচজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই রহস্যজনক মুক্তি পুরো ঘটনাকে আরও ধোঁয়াশায় ফেলে দিয়েছে। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বরিশালে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। একাধিক ঠিকাদার দালাল ও পুরোনো সার্ভেয়ারদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভূমি রেকর্ড অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রফিকুল হাওলাদার একসময় মাপজোক সংক্রান্ত কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তখন থেকেই অভিযোগ—যাদের কাছ থেকে ‘পারিশ্রমিক’ আসে না, তাদের ফাইল আটকে রাখা হতো। অনেক সময় পুরোনো জরিপের তথ্য ‘সংশোধন’ করে নতুন করে এন্ট্রি দিতেন।” তার বিরুদ্ধে অতীতে ভোলা ও বরগুনায়ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, এবার বরিশাল অফিসে এসে তিনি বিকাশ নামের এক ভুয়া কর্মচারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন, যিনি নিয়োগ ছাড়াই ১৬ বছর ধরে অফিসে কাজ করছেন। ‘নিয়োগ ছাড়াই সরকারি দপ্তরে ১৬ বছর চাকরি’ গত সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই বরিশাল অফিসে তোলপাড় শুরু হয়। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসে, বিকাশ  নামের এক ব্যক্তি কোনো নিয়োগপত্র ছাড়াই অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করতেন। এই ঘটনার পর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে তদন্তে নামেন উপপরিচালক (জরিপ) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন। তিনি তদন্তে নেমে জানতে পারেন, বিকাশ মণ্ডলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা—যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রফিকুল ইসলাম হাওলাদার। তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা সন্দেহ করছি, বিকাশ  দীর্ঘদিন ধরে অফিসে থেকে রফিকুল হাওলাদারের নির্দেশে কিছু গোপন নথি সরবরাহ করতেন বা লেনদেন করতেন। সাম্প্রতিক ছুটির দিনের ঘটনাটিও সেই প্রেক্ষাপটে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।” অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছুটির দিনে রফিকুল হাওলাদার ও তার সহযোগীরা অফিসে ঢোকার পেছনে নির্দিষ্ট কিছু ফাইল ছিল মূল লক্ষ্য। সেগুলোর মধ্যে ভোলা জেলার একাধিক জমি রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত ফাইল রয়েছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতীতে সেই ফাইলগুলো নিয়ে আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল, যার প্রমাণ মুছে ফেলতে বা পরিবর্তন করতে তারা ছুটির দিনে অফিসে প্রবেশ করেছিলেন। একজন কর্মকর্তা বলেন, “সপ্তাহান্তে অফিসে ঢোকার অনুমতি কোনো কর্মকর্তার নেই, বিশেষ করে যখন তার সঙ্গে বহিরাগত থাকে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি সম্পূর্ণ রফিকুল হাওলাদারের পরিকল্পিত কাজ।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস এখন অরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কারণ, ছুটির দিনে কেউ অফিসে ঢুকতে পারছে মানে অফিসের চাবি, রেজিস্টার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবই তার নিয়ন্ত্রণে। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম এই ঘটনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চাকরি ছাড়াই ১৬ বছর কাজ করা বিকাশ ম-লের ঘটনায় অফিসের সুনাম আগেই ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এখন রফিকুল হাওলাদারের এই কাজ আমাদের পুরো অফিসকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকারি অফিসে ছুটির দিনে প্রবেশ করা এবং নথি ঘাঁটাঘাঁটি অপরাধমূলক কাজ। আমি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তার বক্তব্যেই স্পষ্ট—ঘটনাটির পুরো দায় রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের উপরই বর্তায়। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন সরাসরি মন্তব্য না করলেও বলেন, “আমি বরিশাল অফিসে বিকাশ’র ঘটনার তদন্ত করছি। সেই প্রক্রিয়ায় রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ভূমিকা সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পুরোপুরি যাচাইয়ের পর মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।” অর্থাৎ, তার বক্তব্যে বোঝা যায়—রফিকুলের কর্মকাণ্ড তদন্তের আওতায় আসছে। বরিশাল শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই অফিসে প্রতিদিন হাজারো মানুষ জমির রেকর্ড, ম্যাপ ও কেস সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আসেন। সেখানে যদি কোনো কর্মকর্তা ইচ্ছেমতো চাবি খুলে বহিরাগতদের নিয়ে ফাইল ঘাঁটতে পারেন, তাহলে রেকর্ড পরিবর্তন বা মুছে ফেলার ঝুঁকি ভয়াবহ। একজন ভূমি মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের দস্তাবেজগুলোই যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে ন্যায়বিচার কোথায় পাব? এই অফিসে যারা দায়িত্বে আছেন, তারাই যদি চুরির পথ খুলে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে?” ভূমি অফিসের এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, রফিকুল হাওলাদার প্রায়ই রাতে বা ছুটির দিনে অফিসে ঢোকেন। অনেক সময় একা, আবার কখনও-সখনও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। “আমাদের কিছু বলার সুযোগ নেই, উনি বড় কর্মকর্তা,”—বললেন তিনি। সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ছুটির দিনে অফিসে প্রবেশ করেন বা সরকারি নথিপত্রের অপব্যবহার করেন, তা গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। এ ধরনের অপরাধে বদলি, সাময়িক বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুতি—সবই সম্ভাব্য শাস্তি হিসেবে নির্ধারিত। একজন প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞ বলেন, “রফিকুল হাওলাদার যা করেছেন, তা কেবল অনিয়ম নয়—এটি নথি বিকৃতি বা গোপন তথ্য অপসারণের প্রচেষ্টা হিসেবেও গণ্য হতে পারে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।” ঘটনার পর রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, “কিছু জরুরি কাজ ছিল, তাই ঢুকেছিলাম।” কিন্তু কী কাজ ছিল—জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “পরে বলছি,” এবং তার পরপরই মোবাইল সংযোগ বন্ধ করে দেন। তার সহযোগী সাবেক সার্ভেয়ার অলি-র সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি প্রশ্ন শুনেই বলেন, “আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলি,” তারপর ফোন বন্ধ করে দেন। তাদের এই আচরণই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—তারা আসলে কী গোপন করতে চাইছিলেন? এই ঘটনার পর পুরো বরিশাল প্রশাসনে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের মতো সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এটি শুধু নিয়মভঙ্গ নয়, বরং প্রশাসনিক নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করেছে।” অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন—যদি একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার চাইলেই তালা খুলে ঢুকতে পারেন, তাহলে অফিসের নিরাপত্তা বা নথিপত্রের গোপনীয়তা কতটা বজায় আছে? বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের দুটি বড় অনিয়ম—একটি বিকাশ’র ১৬ বছরের অবৈধ চাকরি, আর অন্যটি রফিকুল হাওলাদারের ছুটির দিনের গোপন প্রবেশ—দুটি ঘটনাই একই সুত্রে গাঁথা। উভয়ের পেছনে ছিল প্রশাসনিক দুর্বলতা, কিন্তু নেতৃত্বে ছিলেন রফিকুল হাওলাদার। সরকারি ছুটির দিনে বহিরাগতদের নিয়ে প্রবেশ, ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি, এবং পরবর্তীতে রহস্যজনক মুক্তি—সব মিলিয়ে ঘটনাটির পুরো দায়ভার তার কাঁধেই এসে পড়েছে। বরিশালের মানুষ এখন একটাই প্রশ্ন করছেন- “যে কর্মকর্তা ছুটির দিনেও গোপনে অফিসে ঢোকে, তার হাতে জনগণের জমির রেকর্ড কতটা নিরাপদ?” ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের তদন্ত শেষ হলে হয়তো উত্তর মিলবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস রয়ে যাবে অরক্ষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ এক সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী

ইমেইল: nomanibsl@gmail.com

মোবাইল: 01713799669 / 01712596354

 

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।

© বিডি ২৪ নিউজ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংঘাতের মাঝে থাকা ডুরান্ড লাইন,দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বিতর্ক   বিতর্কিত প্রকৌশলী ইকবাল কবিরের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক   কালচারাল অফিসার অসিত বরন পালিয়ে গেল গভীর রাতে   বরিশালের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল’র সঙ্গে বন্ধু ফুলকাম বাদশার স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ   মা ইলিশ বাঁচাতে জলকামান ব‌্যবহার   সুনামগঞ্জের ছাতকে সোনাই নদীর বালু লুটে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট   বরগুনার তালতলীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে   পালিয়ে যেতে পারে বরিশাল শিল্পকলার অসিত বরন দাশ   আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের   জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে:সিইসি   বরিশাল শিল্পকলার সেই বিতর্কিত অসিতকে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বদলি   কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড: ইংরেজি ও উচ্চতর গণিতে ভরাডুবি   বাউফলে শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা   টেইলার্সের কারখানা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার   পটুয়াখালীতে র‍্যাবের গাড়ি ও বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন   বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের হাজিপুর সেতুতে নির্ধারিত টোলের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়   মেহেন্দীগঞ্জে জেলেদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ,নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার   বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পর বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্তে আনন্দে নগরবাসী   বরিশালের ৬টি আসনে হেভিওয়েটের ছড়াছড়ি, থাকছে বিদ্রোহীর শঙ্কা   বরগুনায় সমাজসেবা উপপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Translate »