সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। অগ্রহায়ণের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
চলতি মৌসুমে জামালপুরে সাত উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে উন্নত জাতের। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে বেশি ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা। এ অঞ্চলে সরিষা বেশি আবাদ হয়। সরিষা লাভজনক ফসল হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সরিষা আবাদ।
সরিষা ক্ষেত থেকে সংগ্রহ হচ্ছে মমু
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ২৭ হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ৩২ হাজার পাঁচশ হেক্টর। গত বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ হাজার পাঁচশ হেক্টর। অর্জিত হয়েছিল ২৩ হাজার চারশ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর প্রত্যেক চাষি বেশি মুনাফা লাভ করবে। চাষকৃত সরিষার বেশির ভাগই ফুল এসে গেছে। সরিষা রোপণের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়।

ইসলামপুরের ইনদুল্লাবাড়ী গ্রামের সরিষা চাষি আব্দুল আজিজ বলেন, গত বছর প্রতিমণ সরিষা ১৮-১৯শ’ টাকায় বিক্রি করেছি। সরিষার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ ও কম খরচে অল্প সময়ে খুবই লাভজনক ফসল। কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়।
মেলান্দহেন কৃষক আমিনুল বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফসল ঘরে তুলতে পারব।

জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সম্পূরক রবি শস্য হিসেবে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সরিষা বীজ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে চাষকৃত সরিষার বেশির ভাগেই ফুল এসে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।