December 11, 2024, 9:52 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

সংসদ মন্ত্রিসভা সরকার সবই শেখ হাসিনা, তাহলে ওঁদের কাজ কি?

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, জুন ৪, ২০২০
  • 814 দেখুন

সোহেল সানি 

শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল হতে পারতো, যদি না কতিপয় গণপ্রতিনিধি নামধারী কুলাঙ্গারের উত্থান না ঘটতো।  মহামারী, দূর্যোগময় প্রতিটি সংকটে  প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি জনগণের নাভিশ্বাস উঠেনি।

বরং  উন্নয়নে অবিস্মরণীয় সাফল্য ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব  জনমনে আস্থার সৃষ্টি করেছে। তাঁর মানবীয় গুণাবলীর ফল্গুধারা স্রোতস্বিনীর শাশ্বত স্রোতধারায় প্রবাহিত, নিন্দুকরাও একবাক্যে স্বীকার করেন।

মরণঘাতী করোনায় প্রতিনিয়ত প্রাণ সংহার হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।শেখ হাসিনার মোহনীয় ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ সর্ব মহলে নাড়া দিয়েছে। কিন্ত কিছু মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে তোলপাড়।

জনমনে প্রশ্ন ওঁদের ব্যর্থতা প্রধানমন্ত্রী কেনো বহন করছেন? সরকারের ভাবমূর্তিকে ম্লান করছে কতিপয় গণপ্রতিনিধি চোর কুলাঙ্গার। সচিব পর্যায়ের আমলা গণপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন এসব কারণে।

ত্রাণ চোরদের ২/৪ মাসের শাস্তি! সুযোগের অভাবে যারা চরিত্রবান সেই উৎসুকদের  ভয়ভীতি প্রদর্শনে কি এ শাস্তি যথেষ্ট?ধরুন বিএনপি ক্ষমতায়  আর আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে। বিরাজমান সংকটে নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের  আন্দোলনে বিএনপির অবস্থাটা কি হতো? 

ভাগ্যিস বিএনপি একট অকার্যকর বিরোধীদল। ব্যর্থতার গ্লানি সরকারের গায়ে লাগছে না।বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যাঁর দেশাত্মবোধক চেতনার তুলনাহীন। সরকার বলতে মন্ত্রিসভা শুধু নয় সংবিধিবদ্ধ সকল সরকারি কর্তৃপক্ষকে বোঝায়।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীই সর্বেসর্বা। নামে একটি মন্ত্রিসভা। শেখ হাসিনা দেশকে সুউচ্চ শিখরে অবতীর্ণ করেছেন। বিদেশ রাষ্ট্রনায়করাও তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। জনসাধারণ তাই অনেকটা ভোটের কথা ভুলে গেছে।

সাধারণ মানুষ চায় শান্তি, শৃঙ্খলা,আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা। হরতাল, রাহাজানী অহিংস বাংলাদেশ।  অগ্নিসংযোগের অতীতে স্মরণ করতে চায়না। যুদ্ধাপরাধীদের এবং বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসি কার্যকরত্তোর রাজনীতি চেহারায় তা ফুটে উঠে।

করোনার রাশ টেনে ধরার ক্ষেত্রে বিশ্বের সফলকামের নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত। কারণ করোনার থাবায় বিশ্বই নাস্তানাবুদ। করোনার প্রতিশোধক ওষুধ আবিস্কারের গ্রহণযোগ্য খবর যতটা না, তার অপেক্ষা বেশি উৎকন্ঠা। 

পরাশক্তি এখন ফাঁপা বেলুনের মতো ফেঁটে গেছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে চিকিৎসা  বিজ্ঞানীরাও।হতাশার কথা, শক্তিধর রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরাও  দিকবিদিকশুন্য, আকাশেপানে তাকিয়ে মুক্তি খুঁজছেন। পবিত্র জায়নামাজে প্রার্থনায় মুসলিম দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীরা।

তারপরও কি নির্জীব নির্বিকার নয় প্রধানমন্ত্রীরা? রোম যখন পুরছিল, তখন নীরু বাঁশি বাজাচ্ছিলো, বিশ্বে সেই রকম অবস্থাই যেন বিরাজমান। চীনে, স্পেনে আযান, মার্কিন সিনেট কক্ষে ইহুদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিবিড় পর্যবেক্ষণে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াতের নজির আল্লাহর প্রভুত্বের প্রতিই স্বীকারোক্তির বহিঃপ্রকাশ।

 রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার  মনোবৃত্তি প্রশংসনীয়।   চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকদের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়েছেন। সত্যিই তিনি গুনীমান্যি মানবতাৎসর্গী এক প্রাণ। তাঁর দীর্ঘসময়ের শাসনকর্মে প্রমাণ মিলেছে কর্তব্য সম্পাদনের হিমাদ্রি সদৃশ্য এক অটল প্রতিজ্ঞা তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।

দৃঢ়তা তাঁর দৃষ্টিতে বিরাজমান। একেকটি সংকটে তিনি উদ্যোমী আত্মবিশ্বাসী আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শুধু নয়, বিনির্মাতাও। শতসহস্র বিক্ষোভ, বিদ্রোহের ভ্রূকুটি, ইস্পাত-দৃঢ় বিরোধিতার হুঙ্কার, তেজস্ক্রিয় আন্দোলন ও অবিরাম অগ্নিস্ফুলিঙ্গের আশঙ্কিত দাবানলে সরকার টলকানোর জঙ্গি হেফাজতের তান্ডবী ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করেছেন।

অস্থিরতা তাঁকে  কর্তব্যকর্ম থেকে এতটুকু টলাতে পারেনি, এটাই তাঁর দূরদর্শী সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের পরিচয়। কোনো পরাশক্তি পারছেনা স্বীয় আদর্শ ও উদ্দেশ্য থেকে তাঁকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে। বিরাট কর্ম-সম্পাদনের জন্যেই হয়তো মহান আল্লাহ তাঁকে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় আসনে আসীন করেছেন।ধ্যানগম্ভীর মৌনঋষির মতো নীরবে শুধু কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা গুজব রটানোর হীনমন্যতা প্রত্যক্ষ আমরা করেছি। খুশির জোয়ারে হয়তো তারা গা ভাসান, তাই কেউ কেউ বলেন আরেকটি ১৫ আগস্ট হবে।  তা না হলে ২১ আগস্ট হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। ১৯ বার  হত্যার সম্মুখীন হলেও তিনি বেঁচে আছেন। 

নিঃশেষিত করা যায়নি তাকে।করোনায় কার কখন প্রাণ সংহার হয়, তা কেবল সৃষ্টিকর্তা জানেন।  তবে দেশের এই মূহুর্তে সবচেয়ে বড়বেশি প্রয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেঁচে থাকা। কারণ চোখ বুঝে কল্পনা করে দেখছি, বর্তমান নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা।

আমি অন্যের আয়ুকাল নিয়ে বলার ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছি না।  আল্লাহ ব্যতীত কারো মৃত্যু সম্পর্কে আগাম বলাও গহির্ত অপরাধ। তবে আমি এতটুকু উদার মনস্ক ভাববোধ হতে স্বেচ্ছায় বলতে দ্বিধা করছি না যে, চোখে বুঝে দেখছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ অন্ধকার।

আমাদের প্রজন্ম অনিরাপদ।  পেশীশক্তির জোরে জঙ্গী উগ্রবাদীরা রাষ্ট্র দখল করার চেষ্টা সব সময়ই করবে। তাই চোখ কান খোলা রেখেই সরকারকে অগ্রসর হতে হবে। নইলে আমাদের সন্তানেরা ৭১ পরিণতি বরণ করবে। এ চিন্তায় আমি ঘুমেবিভোর থাকলেও আচমকা লাফিয়ে উঠি।

স্বপ্নে ভাবি আমার কোমলমতি সন্তানরা স্কুল যেতে পারবে তো? নাকি উধাও হয়ে যাবে। ভয়ঙ্কর করোনা নিয়ে অশুভ কোনো ভাবনা নয়, শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, আস্থা রাখুন নিশ্চয়ই এ অন্ধকার আলোর দেখা পাবেই।  

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102