চীনে আরেক ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এ ভাইরাসও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরতে পারে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞানীরা প্রসেসিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস জার্নালে লিখেছেন যে শূকরগুলিতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং সোয়াইন শিল্প শ্রমিকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের দ্রুত প্রয়োগ করা উচিত।
২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু প্রাদুর্ভাব মেক্সিকোতে শুরু হয়েছিল।সর্বশেষ মহামারীর ফ্লুটি প্রথম দিকে ভয় পাওয়ার চেয়ে কম মারাত্মক ছিল।
গবেষকেরা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা চালান। ফেরেট নামে পশুর ওপরও গবেষণা চালানো হয়। কারণ, ভাইরাসের সংক্রমণে এই পশুর শরীরেও মানুষের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, হাঁচি।
জি–ফোর অত্যন্ত সংক্রামক। মানবকোষে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। অন্য ভাইরাসের চেয়ে এই ভাইরাস ফেরেটের শরীরে বেশি গুরুতর উপসর্গ তৈরি করে। পরীক্ষা–নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মৌসুমি ফ্লুতে সংক্রমিত হওয়ার পর মানুষের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তা জি–ফোর ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে না।
রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, শূকরের খামারে কাজ করা ১০ দশমিক ৪ ভাগ কর্মী এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আর ৪ দশমিক ৪ ভাগ সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানবশরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় কি না, এর কোনো প্রমাণ নেই। এটিই গবেষকদের ভাবনার বিষয়।
প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাস মানুষের শরীরে অভিযোজিত হতে পারে। এভাবে মহামারির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গবেষকরা শূকরদের সংস্পর্শে থাকে এমন লোকজনকে নজরদারিতে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রফেসর কিন-চৌ চাং বিবিসিকে বলেছেন "এখনই আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে বিক্ষিপ্ত কিন্ত আমাদের অবশ্যই সম্ভাব্য বিপজ্জনক নতুন ভাইরাসের দৃষ্টি হারানো উচিত নয়।" সূত্রঃ বিবিসি নিউজ