November 7, 2024, 1:03 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

রাবির প্রফেসর এবিএম হোসেন আর নেই

রায়হান ইসলাম রাবি প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, জুলাই ১১, ২০২০
  • 723 দেখুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিদগ্ধ পণ্ডিত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইতিহাসবিদ ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ. বি. এম. হোসেন আর নেই। আজ রাত ২ টায় ঢাকার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তাঁর মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.ফজলুল হক। তিনি বলেন, প্রফেসর এ বি এম হোসেন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আজ বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ও ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। এবিএম হোসেন ১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুমিল্লার দেবীদ্বার হাই স্কুলে। পরে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

তাঁর সাফল্যমন্ডিত শিক্ষানুরাগে মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। সেখানেই তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন।

১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, কলা অনুষদের ডীন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর এমিরিটাস হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন।

তাঁর নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও তাঁর মূলধারার বিষয় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা।তাঁর লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা অদ্যাবধি ১১টি। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে এ-ই বিখ্যাত পন্ডিতকে মনোনীত সদস্য পদে নির্বাচিত করেন। তাছাড়াও তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102