ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির প্রধান হবেন সৌরভ গাঙ্গুলি? এই প্রশ্ন বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটমহলে। এতদিন এ নিয়ে তেমন কথা না বললেও অবশেষে মুখ খুললেন সৌরভ। তার কাছেও নাকি এর উত্তর নেই।
সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট তো সৌরভ নিজেই। তাহলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তার মতামত গুরুত্ব পাবে বেশি।
ডেভিড গাওয়ার, গ্রেম স্মিথের মতো প্রাক্তনরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সৌরভের নেতৃত্ব গুণের। তারাও আইসিসির নেতৃত্বে দেখতে চান সৌরভকে। সম্প্রতি ভারতের একটি টিভি চ্যানেলে সৌরভ বলেছেন, আমিও জানি না কী হবে। এই ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
আর আইসিসিতে পরিস্থিতি আগের মতো নেই, অনেক পাল্টেছে। আইসিসি-তে স্বাধীন চেয়ারম্যান হতে গেলে নিজের দেশের বোর্ডের কোনও পদে থাকা চলবে না। আগে কিন্তু এমন ছিল না। আগে দুটো পদেই থাকা যেত। আর নিয়মের এই বদল কিন্তু বোর্ডে হয়নি, আইসিসি-তে হয়েছে।
সৌরভের ব্যাখ্যা, বর্তমানে বিসিসিআই সংবিধান অনুসারে বোর্ডে একটাই পদে থাকা যাবে। বোর্ডে কখনই দুটো পদে থাকা যাবে না। কিন্তু, বোর্ডের বাইরে অন্য পদে থাকা যাবে। মানে বোর্ডের পদে থাকার পরও আইসিসি বা এসিসি-তে থাকা যাবে। সমস্যা হল, আইসিসিতে আবার দুটো পদে থাকার নিয়ম নেই। অর্থাৎ, আইসিসির চেয়ারম্যান হতে গেলে সৌরভকে বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হবে।
অবশ্য আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বিসিসিআই ছাড়তে খুব একটা আগ্রহী মনে হয়নি সৌরভকে। বলেছেন, আমি জানি না এই পর্যায়ে বিসিসিআই ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কি না। আমার কোনও ব্যস্ততা নেই। আমার বয়স বেশি না।
আর এই কাজটা তো চিরকাল করে যাওয়া যায় না। এগুলো সাম্মানিক কাজ। যা জীবদ্দশায় একবারই করা চলে। অন্য সব দুর্দান্ত প্রশাসকদের দিকে তাকালেও দেখা যাবে যে, সবাই একটা একটা করেই মেয়াদ পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লম্বা সময় খেলার ফলে অন্য প্রশাসকদের থেকে তিনি যে বাড়তি সুবিধা পাবেন এটা সৌরভ ভালোভাবেই মনে করেন। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কথায়, খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাকিদের থেকে আমার বেশি জানারই কথা। কারণ, সারা জীবন খেলেই কাটিয়েছি। আর সেটাই বাস্তব। আর আইসিসি বা এসিসি, যেখানেই যাই না কেন, আসল হলো বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করা।