শ্রাবণের শুরু থেকেই ঢাকাসহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টি লেগে আছে। এরই মধ্যে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কসহ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। নগরীর বেশ কিছু স্থানে জমে থাকা পানিতে নৌকায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। আবার ইঞ্জিনের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় বিকল হয়ে পড়ে অনেক প্রাইভেট কার ও বাস।
জলাবদ্ধতার কারণে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহনে বসে থাকতে দেখা যায়। অধৈর্য হয়ে কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। সব মিলিয়ে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকাবাসী।
গত ১৯ জুলাই রাতে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি গতকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। গত সোমবার সকালে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে পানি জমে যায়। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ফলে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, শাহজাহানপুর, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ নগরীর নিচু এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পথচারীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতার জন্য সোনারগাঁও ক্রসিং, পান্থপথ, বাড্ডা, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় যান চলা ব্যাহত হয়। নগরীর প্রধান সড়কগুলোয় কোমরপানি ভেঙে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল চালকদের গাড়ি চালাতে দেখা যায়। কাউকে কাউকে বিকল গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বৃষ্টিতে যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় বেশ কিছু সড়কে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। আর বৃষ্টির কারণে ট্রাফিক সদস্যদের যানজট নিরসনে বেগ পেতে হয়।
বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অলিগলিতেও হাঁটুপানি জমতে দেখা যায়। ফলে বাসিন্দাদের বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার ভাড়াও গতকাল কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। উপায় না থাকায় অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে পৌঁছেন। তবে ব্যতিক্রমও দেখা যায়।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে পল্লবী আবাসিক এলাকায় যেতে এক রিকশাচালক ১৫০ টাকা ভাড়া দাবি করায় হোসনে আরা নামের গৃহিণী হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। টানা বৃষ্টিতে দিনমজুর শ্রেণির ভোগান্তিও বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন//