ধর্ষণের কথা গোপন করতে অস্বীকৃতি জানানোয় পোশাককর্মী শারমিন বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে করেছেন রিকশাচালক সুমন মালি।
এ নিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন রিমান্ডে থাকা সুমন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. সেলিম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে সুমন মালিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটিচাপা অবস্থায় পোশাক শ্রমিক শারমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর রোববার (১৭ এপ্রিল) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন মালিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সুমন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সুমন কিছুদিন ধরে শারমিনকে অনুসরণ করত। ১০-১২ দিন আগে শারমিনের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। এরপর চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হতো তার।
গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে সুমন। এরপর ১৫ এপ্রিল ঘোরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে সুমন। ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়।
ভিকটিম এ বিষয়ে নালিশ জানাবে বলে সুমনকে জানায়। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় শারমিনের ভাই আজিজুল খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন।