নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। গ্রামের মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এই রাস্তাটি ছাড়া এলাকাবাসীর চলাচলের আর কোন রাস্তা নেই। রাস্তাটি পাকা করার কথা বলে অনেকে নির্বাচিত হলেও রাস্তাটি আগের মতো রয়ে গেছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের রাস্তাটি নিয়ে প্রতিশ্রুতির শেষ নেই। নির্বাচন শেষে সব ভুলে যায় জন প্রতিনিধিরা। রাস্তা পাকা আজ হবে, কাল হবে- বলতে কেটে গেলো বহুবছর। অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো না গ্রামবাসীর।
গ্রামে বাস করেন প্রায় চার হাজার মানুষ। সবাইকে এই রাস্তা (কাজী বাড়ি হতে তেঁতুলতলা বাজার পর্যন্ত) দিয়ে যেতে হয়। হালকা বৃষ্টি হলে চলাচলের আর সুযোগ থাকে না। ভোগান্তি নিয়েই দিন কাটছে গ্রামের বাসিন্দাদের।
সরেজমিন দেখা যায়, অল্প বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে উঠে রাস্তাটি। কাদা রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। নারী ও শিশুরা বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা চরম ভোগান্তির।
পীরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী কাজী পরশ জানান, বর্ষার মৌসুমে কর্দমাক্ত পথে চলতে পথচারীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বেশি সমস্যায় পরে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও মহিলারা। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বাররা বার বার রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার কথা বললেও কিন্তু দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, খিদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে জানানো হয় রাস্তাটি পাকা করার জন্য। চেয়ারম্যান বিভিন্ন মেয়াদে রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রায় চার হাজার মানুষ বাস করে এ গ্রামে।
পীরপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার এমন বেহাল দশা। চেয়ারম্যান মেম্বাররা রাস্তার কাজটি করতে অনাগ্রহী। এই কাঁচা রাস্তাটি অনেক জায়গায় ভাঙ্গা রয়েছে। এই রাস্তাটি যেন পাকা করা হয় এমনটায় প্রত্যাশা করেন এলাকার লোক।
বয়স প্রায় ষাটের কোটায় পীরপুর গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা আবদুল কাদির জানান, চেয়ারম্যান মেম্বাররা বাইল-বোল দে রাস্তা করবো ওমুক করবো, তুমুক করবো, কেউ কিছু করেনা। বাজারে যাওয়ার মতো ব্যবস্তা নাই, সাইকেল দিয়া পর্যন্ত যাওন যায় না। জরুরী রোগী লইয়া যে যায়াম তারও কোনো কায়দা নাই।
এ সময় এই এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করে এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘব করে দেশ সেবায় অবদান রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
খিদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিল বলেন, এ কথা সত্য তাদেরকে বারবার আশ্বাস দিয়েছি। আমি মন্ত্রীর সঙ্গে রাস্তাটি নিয়ে কথা বলেছি। এই রাস্তাটি পাকা করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে এ প্রকল্প বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুতি রাস্তাটি পাকা করা হবে।