October 7, 2024, 2:36 pm
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্বে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, আগস্ট ৪, ২০২০
  • 505 দেখুন

জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব বলে মনে করেন  আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো: শামসুল ইসলাম। এসময় সিইউজে নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন দাবি-ধাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা বেতন পাচ্ছেনা, যারা চাকরীচ্যুত কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার এই তিন ক্যাটাগরির সাংবাদিকদের মধ্যে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এককালীন সহায়তা প্রদান করার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা প্রথম ধাপে সারাদেশে দেড় হাজার সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছি। এটি এই দেড় হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, পরবর্তী পর্যায়ে আরো চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, আপনারা জেনে নিশ্চিত খুশি হবেন আমাদের আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায়ও সাংবাদিকদের এধরনের সহায়তা করা হচ্ছেনা। সেখানে সহায়তা করা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে। আমরাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদেরকেও এককালীন তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কে দেয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রথম মাসে সবকিছু বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনেককিছু খুললেও এখনো অনেক কিছু খুলেনি। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজকর্ম কখনো বন্ধ ছিলনা। সাংবাদিকরা এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করেছে, সংবাদ পরিবেশন করেছে, যে কারণে পত্রিকা বের হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যদি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ না করতো তাহলে পত্রিকায় ও টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভবপর হতো না। এর জন্য বহু সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ভাই-বোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই সংবাদপত্র টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম যাতে সাংবাদিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা ঠিকমতো দেয়া হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে এমন কোন সেক্টর নাই নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি, সমগ্র বিশ্বব্যাপী এটি হচ্ছে চিত্র। তাই আমি বারংবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা কষ্টটা যেন ভাগ করে নিই। এই দুর্যোগ কিন্তু সব সময় থাকবেনা, তাই দুর্যোগের সময় আমাদের অসুবিধা হলেও আমি সমস্ত গণমাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো সাংবাদিকদের বেতন ভাতা যতোটুকু সম্ভব সঠিক ভাবে যেন পরিশোধ করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। যদি তাই না হতো তাহলে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার এত কম হতো না। মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তো কম বটেই এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ভারত পাকিস্তানের চেয়েও কম।

পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয় জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অনেক অসুবিধা ছিল, আইসিইউ বেড থেকে শুরু করে নরমাল বেডের সমস্যা ছিল। আজকে আইসিইউ বেড খালি আছে, নরমাল বেডও খালি। প্রথমদিকের পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদ গুলো এসেছে সেগুলো আমার চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামে রোগী ৫’শ বেড আছে ৪’শ এধরণের খবর পরিবেশিত হয়েছে। অথচ করোনা আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হাসপাতালে যেতে হয় না।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার জন্য, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা যাতে আরো সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সুতরাং যখন কাজের ত্রুটি হয় সেটি অবশ্যই গণমাধ্যম উঠে আসবে। যখন কাজ ভাল হয় তখন সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন। আজকে যে ভালো পরিস্থিতিতে আমরা আসতে পেরেছি সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

পরে চট্টগ্রাম বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে করোনা ভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো: ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক//

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102