নরসিংদীর শিবপুরে ঝুমা আক্তার (১২) নামের এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ৬ আগষ্ট রাতে শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের খামার শিমুলিয়া গ্রামে রাতে কোন এসময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝুমা আক্তার শিমুলিয়া গ্রামের মুকুল মিয়ার দ্বিতীয় সংসারের মেয়ে।
৭ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ।
নিহতের বাবা মুকুল মিয়া জানান, গতকাল ৩ ঘটিকার সময় বাড়ির পাশে মাদ্রাসার টিউবওয়েলে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ঝুমা। পরে অনেক খোঁজাখোজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। আজ সকালে বাড়ির পাশে ইব্রাহিমের কলাবাগানে লাশ দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আমার মেয়েকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে তা আমার জানা নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
শিবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে বাড়ীর পাশে নির্মানাধীণ মাদ্রাসার টিউবয়েলে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ঝুমা। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলাবাগানে নিয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য মরদেহের সুরতহাল তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত বলা যাবে। এ ঘটনায় নির্মানাধীণ মাদ্রাসার চার শ্রমীককে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
এব্যপারে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি করোনা ভাইরাসের কারণে অসুস্থ্য থাকায় ঘটনা স্থলে উপস্থিত হতে পারিনি। আমার আফিসারদের সাথে সর্বক্ষনিক যোগাযোগ করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের কে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠ তদন্ত করে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি ।