নরসিংদী মনোহরদীর শুকুন্দী ইউনিয়নের হাররদিয়া পুকুরপাড় হইতে দিঘাকান্দী গফুর ভূঁইয়া বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা। পাকা করার দাবী এলাকাবাসীর। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
ফলে ভোগান্তিতে পড়েন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীঘাকান্দী, সুতারলড়িকান্দা, হাররদিয়ার ও নারান্দীর কিয়দংশ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানের বাসিন্দারা মনোহরদী উপজেলা সদরে আসতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়াসহ বেশকটি গ্রামের মানুষ ও স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা মনোহরদী সদরে আসতে এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ, সিএনজি, অটোরিকশা চলাচল করে এখান দিয়ে। এরাস্তা দিয়েই শুকুন্দী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেদ্রে সেবা নিতে যান বহু মানুষ।
তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবী করেন এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, রাস্তটির দুই মাথা পাকা হলেও মাঝখানে প্রায় আাধা কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে।
কাপাসিয়া হতে আসা এক পথচারী জানান, মনোহরদী উপজেলা সদর কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসা, বাজার করা, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার্থীরা মনোহরদী যাতায়াতে এ রাস্তাটি ব্যাবহার করেন তারা। কিন্তু রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য।
তাই রাস্তাটি পাকা হলে দু উপজেলার মানুষের সেতুবন্ধন, হাট-বাজার, স্বাস্থ্য সেবা নিতে এবং স্কুল- কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দূর্ভোগ লাঘব হবে।
মনোহরদী উপজেলা আওয়ামীলীগ’র স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর ভূঁইয়াপুত্র আব্দুল খালেক ভূঁইয়া বলেন, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে রাস্তাটি নিয়ে কথা বলেছি। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গেও এ প্রকল্প বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হবে।