ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের চাঁদ হাট গ্রামের মৃত আঃ ছামাদ মাতুব্বর এর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৬৮) এর জমি জোরপূর্বক দখল নিয়ে পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী জব্বার মোল্লার ছেলে ১,মোঃইমারত হোসেন দুলাল (৫০)২,মোঃ বাবলু মোল্লা (৪০),মোতালেব মাতুব্বরের ছেলে ৩,আজিজুল মাতুব্বর (৩৫),৪,রুমন মাতুব্বর (৩০)৫,লিমন মাতুব্বর (২৭) ৬,মাইনউদ্দীন মুন্সীর ছেলে টিটু মুন্সী (৩৭)।
গত ১৭ আগস্ট ২০২০ তারিখ সকাল ১০ টার সময় জোরপূর্বক জমিে পাকা ঘর নির্মান করছেন বলে মামলার বাদী প্রথম পক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলা ফরিদপুর, থানা,নগরকান্দা অন্তর্গত হাল ২০৬ নং গজারিয়া মৌজাস্হ বি,এস ৩৩৮খতিয়ান বুক্ত ৫৬০৬ দাগে ২০ শতাংশ, ৫৬০৭ দাগে১৭ শতাংশ মোট ৩৭ শতাংশ মধ্যে ১ম পক্ষের ভোগ দখলকৃত সম্পত্তি বি,এস ৫৬০৭ দাগে ১৭ শতাংশ।
যাহার চৌহদ্দিঃপূর্বে ইটের রাস্তা, পশ্চিমে চাষের জমি উত্তরে ইমারত গং,দক্ষিণে ১ম পক্ষের ভিন্ন দাগের জমি।প্রথম পক্ষ বাদী জাহাঙ্গীর আলম বুজতে পারে যে ২য় পক্ষ গন জোরপূর্বক তার জমিতে দখল নিয়ে পাকা ঘর স্থাপনা গড়ে তুলতে পারে বলে আদালতে অভিযোগ করে উক্ত জমির ওপর ১৪৪ ধারা আইন জারি করে।
করোনা করন বশত আদালতে উপস্থিত না থাকায় মামলাটি একতরফা খাজি হয়।১৬ আগস্ট মামলাটি খারিজ হলে ১৭ আগস্ট মামলার প্রথম পক্ষ বাদী জাহাঙ্গীর আলম আদালতে নারাজি চেয়ে পুনরায় মামলাটি চালু রাখে।এই সুযোগে ২য় পক্ষ গন জোরপূর্বক জমিতে পাকা ঘর নির্মান চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম পক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২য় পক্ষ গন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল,রামদা,লোহার রোড শাবল নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে বাঁশ, খুটি, ইট,সিমেন্ট নিয়ে জোরপূর্বক জমিতে পাকা ঘর স্থাপনা নির্মান করছে।দখলদারিদের ভয়ে বাঁধা দিতে পারছি না।
২য় পক্ষ জমি দখল ও গাছপালা কাটার হুমকি দিলে প্রথম পক্ষের ভ্রাতা মোঃফারুক হোসেন ২১/০৬/২০২০ ইং তারিখে ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কাঃ বিধির ১৪৪ ধারায় এক দরখাস্ত দায়ের করেন।যাহার নাম্বার থাকে নগরকান্দা পিটিশন২১২/২০ এবং পরবর্তী তারিখ থাকে ১৬/০৮/২০২০ ধার্য্য তারিখ।
২য় পক্ষ মামলাটি খারিজ জানিয়া ১৭/০৮/২০২০ ইং তারিখে সকাল ১০ টার সময় ভাড়া করা মাস্তান ও দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মান চালিয়ে যাচ্ছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২য় পক্ষের লোকজন উক্ত জমির ওপর পাকা ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয় ২য় পক্ষ গনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমাগো জায়গা আমরা ঘর উঠাই। কাগজপত্র দেখতে চাইলে ২য় পক্ষদয় কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এলাকার অনেকে বলেন জোর জার মুল্লুক তার।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমী) বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সহ অবৈধ দখলদারির হাত থেকে জমি রক্ষার দাবী জানান ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম।