ভারতের জেলে বন্দি থাকা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ২৫ বাংলাদেশী মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। স্বজনদের কাছে ফিরে আসতে পারার আনন্দটাই যেন বলে দেয় আজ ঈদের দিন।
বুধবার (২রা সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বুড়িমারি-চেংড়াবন্ধা চেকপোস্ট দিয়ে নিজ দেশে ফেরেন তারা। মানবতার সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কুড়িগ্রামের চিলমারীর সন্তান রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩ মে দেশে ফেরার সময় ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি পুলিশ। এদের একজন ভারতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়।
গত শনিবার (২৯ আগস্ট) ভারতের ধুবড়ি আদালতের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কারামুক্ত হয়ে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বুড়িমারি-চেংড়াবন্ধা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরেন তারা।
ভারতের হাইকোর্টের আইনজীবী অসীম দাস গুপ্ত এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী রাজস্বী দাস গুপ্ত আটক বাংলাদেশিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেন।
নাহিদ হাসান নলেজ জানান, বৈধ ভিসায় ভারতে গিয়ে করোনাকালে আইনের বেড়াজালে আটক ২৫ বাংলাদেশি প্রায় চার মাস ভারতের কারাগারে আটক থাকার পর আদালতের আদেশে ভারতের ধুবড়ি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আজ দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সংগ্রামে শহীদগণের স্মরণে ও মুক্তি প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ও বাংলাদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় কুড়িগ্রাম শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে ঘরে ফিরেন তারা।
মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশীদের স্বজনদের মধ্যে আটক হানিফ মিয়া ও মানিক মিয়ার বাবা লাল মিয়া, আমিনুল ইসলামের ছোট ভাই মমিনুল সহ রেল- নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির সদস্যরা বুড়িমারি চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট হতে কারামুক্ত ২৫বাংলাদেশীকে গ্রহণ করেন।