নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালেশ্বর গ্রামে ২ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার লাভলী (২৬)নামে এক গৃহবধূ শশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় মারা যায়।
নিহত লাভলী বেগমের পিতার বাড়ি পাশ্ববর্তী সালথা উপজেলার গট্রী ইউনিয়নের বাশর কান্দী গ্রামে।সে ঐ গ্রামের মফিজ মাতুব্বরের মেয়ে।লাভলীর নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালেশ্বর গ্রামের আব্দুর রউব মাতুব্বরের ছেলে মামুন মাতুব্বরের সাথে বিয়ে হয়।লাভলীর ৬ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।
নিহতের স্বজনরা বলেন তার স্বামী মামুন মাতুব্বর তাস, জুয়া খেলার নেশা আছে লাভলী তাস জুয়া খেলতে বাধা দেওয়ায় তার শশুরবাড়ীর লোকজন এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।খবর পেয়ে লাভলীর বাবার বাড়ির লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লাভলী কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় ৩দিন পর শুক্রবার সকাল ৭ টার সময় লাভলী মারা যায় বলে নিহতের স্বজনরা জানান।নিহত লাভলীর ভাই সেলিম মাতুব্বর বলেন,মামুন মাতুব্বর তাস জুয়া খেলে বেড়ায় আমার বোন লাভলী নিষেধ করলে তার স্বামী মামুন মাতুব্বর ও লাভলীর শশুর রউব মাতুব্বর, শাশুড়ী, ননদ,দেবর কামরুল মাতুব্বর মিলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
খবর পেয়ে ছুটে এসে তালেশ্বর থেকে লাভলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তী করি।লাভলী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে নিহতের পরিবারের লোকজন জানান।তথ্য সুত্রে মামুনের খালাতো ভাই মোঃ জাকির হোসেন বলেন যে আমার খালাতো ভাই একটু দুষ্ট টাইপের শুনছি তবে পরিবারের লোকজন লাভলীকে খুব ভালোবাসে।
এব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে নগরকান্দা থানা পুলিশ ২ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের
পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।