July 27, 2024, 12:11 am
শিরোনাম:
মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর মনোহরদীতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে অভিযান ১০টি ম্যাজিক জাল জব্দ

ফেসবুকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগ,যে বিষয়গুলো দেখবেন নিয়োগ কর্মকর্তা।

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বুধবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
  • 601 দেখুন

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।সাবহানাজ রশীদ দিয়া নামের এই কর্মকর্তাকে সোমবার একটি অনলাইন মিটিংয়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর তার কাজ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ বিষয়ক একজন কর্মকর্তা হিসেবে সাবহানাজ রশীদের নিয়োগকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রথম তথ্যটি প্রকাশ করেন। যদিও গত এপ্রিল মাস থেকেই তিনি এই পদে কাজ করছেন, তবে সোমবারই তাকে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশে ফেসবুকের পক্ষে জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর জানিয়েছে, সাবহানাজ রশীদ দিয়া ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছেন।

বেঞ্চমার্ক পিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক রক্ষা করাসহ এনজিও ও আই-এনজিও, টেক কোম্পানি এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে ফেসবুকের সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো তিনি দেখবেন।

ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল টিমের একজন সদস্য হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া।

বাংলাদেশ বিষয়ক একজন কর্মকর্তা হিসেবে কী ধরণের কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছিল ফেসবুকের বিজ্ঞাপনে।

পাবলিক পলিসি ম্যানেজার স্থানীয় ভাষা, জননীতি এবং বিধিবিধান বিশ্লেষণ করে দেশটি সম্পর্কে তথ্য যোগানের প্রথম কাজটি করবেন। সেসব তথ্যের ভেতর ওই দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক গভীর পর্যবেক্ষণ থাকবে, যার ভিত্তিতে ওই দেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিসহ সরকার, এনজিও, অ্যাকাডেমিয়া, শিল্প, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন শাখার গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টরের কাছে তিনি রিপোর্ট করবেন।

ফেসবুক আরও জানিয়েছিল, পাবলিক পলিসি ম্যানেজার এমন একটি টিমের সদস্য হিসাবে কাজ করবেন, যাদের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, উন্মুক্ত ইন্টারনেট, ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, নতুন নতুন বিভিন্ন পক্ষের সম্পৃক্ততা তৈরিতে করতে কাজ করতে হবে।

ফেসবুকের বাংলাদেশে পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী, এই পদে থেকে তাকে যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে-

প্রযুক্তি, সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সমাজের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, এমন দেশীয় নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা, নীতিনির্ধারক, সরকার, তদারকি কর্তৃপক্ষ, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পক্ষ এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে বৈঠকে ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করা, দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি টিমের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে এমন কর্মসূচি তৈরি করা, যা সমাজের সব স্তরে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা এবং এ ব্যাপারে আস্থা গড়ে তুলবে,

ফেসবুকের পলিসি প্রোগ্রাম টিমের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, ছোট ব্যবসা ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশভিত্তিক পাবলিক পলিসি তৈরি করা, কোম্পানির ভেতর পণ্য, বাজারজাতকরণ এবং যোগাযোগ টিমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা, যাতে প্রধান নীতি অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হয়, অ্যাডভোকেসি টিম, অ্যাকাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি সংগঠনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, ফেসবুকের প্রধান নীতিগুলোর ব্যাপারে সবার কাছে ফেসবুকের অবস্থান তুলে ধরা।

সামাজিক মাধ্যম বিষয়ক গবেষক ড. নাসিম মাহমুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সরকার অনেকদিন ধরে চাচ্ছিল, ফেসবুক যেন বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখার জন্য বাংলাভাষী কাউকে নিয়োগ দেয়। কারণ ফেসবুকের অনেক বিষয়ে সরকারের বক্তব্য থাকে, আপত্তি থাকে, সেগুলো যেন অ্যাড্রেস করা হয়। সেই কারণেই ফেসবুক এই নিয়োগ দিয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। এখানে তিনি আসলে একটা পয়েন্ট অব কন্ট্রাক্ট হিসাবে কাজ করবেন।

সাবহানাজ রশীদ দিয়া বাংলাদেশের বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কেলেতে পড়াশোনা করেন। এক সময় রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসাবেও ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্প, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনেও কাজ করেছেন বলে তার লিঙ্কডইন প্রোফাইলে উল্লেখ করেছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102