মৃত মুর্শেদ উপজেলার নোয়াপাড়া ইটাখোলা গ্রামের মৃত হেফজু রহমানের
ছেলে। মামলার বাদী শফিকুর রহমান শামীম জানান, গত ৮ জুন রাতে তার ভাই
সাইফুর রহমান মুর্শেদকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে আবদ্ধ ঘরে আটকে রেখে
তালাবদ্ধ করে রাখে।
এ ঘটনায় সাইফুর রহমান মুর্শেদ এর স্ত্রী হাসি
বেগমকে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই
মামলায় হাসি বেগমকে ঘটনার দিন দুপুরে গ্রেফতার দেখিতে আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
হাসি বেগম এখনো ওই মামলায় কারাগারে আছে। বাদীর অভিযোগ মাধবপুর থানার এসআই ওয়াহিদ গাজী
সুরত হাল প্রতিবেদনে ভিকটিমের গলায়, হাতে, পায়ে, অন্ডকোষে, পায়ুপথ
সহ ৭/৮টি জখমের চিহ্ন উল্লেখ ছিল।
কিন্ত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ডাক্তাররা উল্লেখ করেন সাইফুর রহমান মুর্শেদ গলায়
ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী হবিগঞ্জ
জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নারাজীর আবেদন দাখিল করেন। আদালত
বাদীর নারাজীর আবেদন মঞ্জুর করে পুনরায় ভিকটিমের কবর থেকে মরদেহ
উত্তোলন করে পুন ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পথিক মন্ডলের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে হবিগঞ্জ
সদর হাসপাতাল মর্গে পুন ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে।