আমি এতিম ও প্রতিবন্ধী আমার বেদখল জমি উদ্ধার করে দিন- প্রতিবন্ধী মোবারক। এতিম এবং মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু ও আজ হয় তো নিরাপদ নয় আমাদের সমাজে। অমানবিক এবং হৃদয় বিদারক এক ঘটনা যা আমাদের সমাজের মানুষের মতো দেখতে অমানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে।
মাতা কাজী আছমা খাতুন বজ্রপাতে গাছ পরে মৃত্যৃুর পর বাবা কাজী সামসু উদ্দিন শেষ ভরষা ছিল প্রতিবন্ধী শিশু কাজী মোবারকের । মায়ের গাছ চাপায় মৃত্যু তাকে বেশি অসহায় করেছে। বাবা- মা উভয়েরই মৃত্যুর পর অকূল পাথারে পড়ে যায় এগার বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশু মোবারক ।
এরই মাঝে প্রতিবন্ধী শিশুটির বাড়ি ভিটাটুকুও বেদখল করে নিয়েছে আপন চাচাত ভাই। বেড় করে দিয়েছে বাড়ি থেকে । এরপর চারদিকে শুধুই অন্ধকার নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা মোবারকের । কোথায় মিলবে আলো।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী আসে মোবারক মন্ত্রণালয়ের সামনে তাকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন এডভোকেট শাকিল।বিস্তারিত শুনে সাংবাদিক শাকিল প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে স্মরণাপন্ন হন শিল্পমন্ত্রী ও নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের কার্যালয়ে।
সুবিচার চেয়ে মন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন । মন্ত্রী আবেদনটির প্রেক্ষিতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি সত্যতা যাচাই করে ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
অভিযোগ , এতিম কাজী মোবারকের পৈত্রিক বসতভিভটা বেদখল করে তারই চাচাত ভাই প্রভাবশালী স্কুলের কেরানী কাজী মোস্তাফিজুর জমি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় নেতাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো প্রতিকার পায়নি মোবারক।
বাড়িতে থাকলে দখলদার চাচাত ভাই কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর লোকজন কাজী মোবারকের সাথে দুর্ব্যবহার করে বাড়াবাড়ি করলে এলাকাছাড়া করার হুমকি দেয়।
এঘটনায় কাজী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষুব্ধ । আপনজন যখন মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায় তখন চাচাতভাই বেদখল করেছে তারই জমি । অপরদিকে পাশে দাড়িয়েছে সাংবাদিক শাকিল।
বিষয়টির সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এবং কাগজপত্র দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ।