ময়মনসিংহের নান্দাইলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে নরসুন্দা নদী। দৃষ্টিনন্দন না হলেও নরসুন্দা নদীটি নান্দাইলের ঐতিহ্য বয়ে রাখছে। আর এই নদীর দুই পাড় দখলে গেলেও সদরের প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া নদীর পাড়ে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনাসহ বিভিন্ন জায়গার বর্জ্য।
দিন দিন ভরে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। ময়লায় ভাগাড়ে পরিণত হওয়া ওই স্থানের পাশ দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল করতে হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য শ্বাস বন্ধ করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নান্দাইল সদর ভাগ হয়েছে এই নরসুন্দার নদীর কারণে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর স্থাপিত সেতু দিয়েই পারাপার। একটি পুরাতন অন্যটি নতুন। পুরাতন সড়ক দিয়ে ভারী যানবানহন চলাচল না করায় লোকজনের হাঁটাচলা ছাড়াও ছোট যানগুলো অবাধে চলাচল করতে পারছে।
এ অবস্থায় থানাঘেঁষা ওই সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। প্রতিনিয়িত দুর্গন্ধে চলাচলই এখন বড় ভোগান্তি। দিনের বেলায় ভ্যানগাড়ি করে ময়লা ফেলা হলেও রাতে ফেলা হয় দূরদূরান্তের বর্জ্য ও ময়লা। ময়লার পলিথিন, পচা কাঁচামালসহ জবাই করা পশুর বর্জ্যে নদীর পাড় ভাগাড় হয়ে গেছৈ। দুর্গন্ধে দুর্বিসহ জীবন এলাকাবাসীর। অথচ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।
পৌর মেয়র মো. রফিক উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ওই জায়গায় ময়লা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে অন্য জায়গায় ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন ফেলা হচ্ছে তা দেখব।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন, সদরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। এ জন্য মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে গতমাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সদর থেকে দূরে একটি চিহ্নিত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য। এরপর কেন সদরে ফেলা হচ্ছে তার খোঁজ নেওয়া হবে।