হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুজন আহমেদকে (২১) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। আটককৃত সুজন আহমেদ আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়ার (আসাম পাড়ার) গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে।
সে বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তসত্বা বলে জানা গেছে। একদিকে ঘটনার পর বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত সুজন আহমেদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
পরে রাতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে সুজন আহমেদ ও তার বন্ধু মুসলিম মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন সূত্রে জানা যায় উপজেলার বিরাট উজানপাড়া।
(আসামপাড়া) গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার একমাত্র ছেলে সুজন আহমেদ অনেকটা লম্পট প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন। সুজনের স্ত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তসত্বা বলে জানা গেছে।
কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের সিকন্দরপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কিশোরী মেয়ের সাথে পরিচয় হয় সুজনের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
(২৪-সেপ্টেম্বর) বিকালে সুজন তার বন্ধু মুসলিম মিয়াকে সাথে নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলো ভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সুজন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে হাতে নাতে সুজন আহমেদকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বিকাল ৫টার দিকে শিবপাশা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আশরাফ আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজনকে আটক করে আজমিরীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। পরে ওই কিশোরী বাদি হয়ে সুজন আহমেদ ও তার বন্ধু মুসলিম মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ‘ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া অভিযুক্ত সুজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫-সেপ্টেম্বর) আটককৃত যুবকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য কিশেরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।