বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান বলেছেন, শত বছরের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারা একজন নারীকে ধর্ষণ করেছে তারা কারা? তাদের পরিচয় কী? আমি বলবো তাদের পরিচয় হলো তারা অপরাধী।
আমরা দেখেছি, আজ যারা অপরাধী সময়ে সময়ে আদর্শ ছাত্র রাজনীতির বিপরীতে এদের অবস্থান ছিল। ক্যাম্পাসে, ছাত্রাবাসে তাদের দ্যৌরাত্ম ও অপকর্মে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকতো শঙ্কিত। বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে ছাত্রদেরকে এরা নির্যাতনও করেছে। বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে তারা সময়ে সময়ে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলেও প্রশাসনিকভাবে তাদেরকে দমানোর কোনো চেষ্টা করা হয়নি।
সরকারকে দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে-মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান
যার পরিণাম এম সি কলেজ ছাত্রাবাসের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি বর্তমান করোনাকালীন সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু এ সময়ে কীভাবে এই বখাটেরা কলেজের ছাত্রাবাসে অবস্থান করে। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ কোনোভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যে ঘটনা ঘটেছে তা অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য ও বর্বরতম। স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ এটা জাহিলিয়াতি সময়ের কর্মকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অতি দ্রুত সকল দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগরী আয়োজিত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজের (এম সি কলেজ) ছাত্রাবাসে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি শেখ আলী হায়দারের সভাপতিত্বে ও সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় এবং সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ অফিস সম্পাদক তৌরিছ আলী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সুলতান আহমদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি কামাল উদ্দিন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট পশ্চিম জেলার সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ বাবু, সিলেট মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহমদ, সিলেট পশ্চিম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ, প্রচার সম্পাদক শেখ রেদওয়ান হোসেন, সিলেট মহানগরীর সহ প্রচার সম্পাদক পিয়ার হাসান, হোসাইন আহমদ, অর্থ সম্পাদক আজাদ হোসেন, অফিস সম্পাদক শামস উদ্দিন, সহ অফিস সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম নিয়াজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরিফ হোসেন সামাদ, সিলেট পশ্চিম জেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেজাউল করীম, শিক্ষা ও সংস্কৃতিক সম্পাদক খালেদ আহমদ,
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা সভাপতি আশিকুর রহমান, সিলেট সরকারি কলেজ সভাপতি জাহিদ হাসান তালুকদার, সোবহানীঘাট ডি,ওয়াই কামিল মাদরাসা সভাপতি মুশতাক আহমদ, সিলেট এমসি কলেজ সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবু, ওসমানীনগর উপজেলা সভাপতি মাহবুব আহমদ খান, বিশ্বনাথ দক্ষিণ উপজেলা সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির ফয়ছল, বিশ্বনাথ উত্তর উপজেলা সভাপতি জামাল আহমদ, সদর পশ্চিম উপজেলা সভাপতি রইছ উদ্দিন, মোগলাবাজার থানা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা থানা সভাপতি ফখরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর পূর্ব উপজেলা সভাপতি শাহ আলম, জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আহমদ আল মনজুর, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হোসাইন আহমদ, সিলেট মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সাইদুল ইসলাম দুলাল, ২২ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এফ কে জুনেদ আহমদ, ০৮ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ০৭ নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম মুন্না, প্রমুখ।