কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে (১৩ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর বাজার সংলগ্ন দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনন্তপুর বাজার সংলগ্ন দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে চত্বরে আলোচনা সভায় বক্তারা হাতিয়া গণহত্যা দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা এবং শহীদদের স্মৃতি ও ৬৯৭ জনের নাম সংরক্ষণের দাবি জানান।
হাতিয়া গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে – জান্নাত রুমি সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম শওকত আলী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, হাতিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য মিজানুর রহমান, উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাইখুল ইসলাম নয়া প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর ৬৯৭ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় উলিপুর শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে হাতিয়া দাগারকুটি এলাকায় কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় ও ফেরার পথে অনন্তপুর বাজার আগুন লাগিয়ে দেন পাকিস্তানি বাহিনী। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে গ্রামের বাসিন্দাদের গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাযঞ্জ চালায় তারা।