ফেসবুকে প্রেম, দেখা করতে ঢাকার কর্মস্থল থেকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রেয়সীর এলাকায় ভ্রমণ। এভাবে চলার পর একদিন জানা গেল প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় প্রেমিকার। খবর পেয়ে সেদিনই কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আসেন প্রেমিক রাজু আহমেদ (২৫)। কিন্তু বিয়ে ঠেকাতে পারেননি, পারেননি প্রেমিকাকে ফেরাতেও। ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আবারও ঢাকার উদ্দেশে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু ফেরা হয়নি। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধরলা ব্রীজের নিচ থেকে রাজু আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) খান মো.শাহরিয়ার নিহত রাজুর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেসবলেন,আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি নিহত রাজু আহমেদ প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে
প্রেমের টানে রাজুর কুড়িগ্রাম আসার এসব তথ্য জানিয়েছেন রাজুর পূর্ব পরিচিত নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হোসেন। এর আগেও রাজু কুড়িগ্রাম এসে ফিরে গেছেন। একবার তার পরিবারের লোকজন তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান মোফাজ্জল।
নিহত রাজুর বাড়ি চুয়াডাঙার বিরামপুরে। তার বাবার নাম আশরাফুল ইসলাম। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাজু বড়। সে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো বলে জানান রাজুর বাবা।
রাজুর বাবা জানান, প্রেম ঘটিত কারণে রাজু এর আগেও কুড়িগ্রাম গিয়েছিল। একবার আমরা তাকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু এবার কবে গেছে তা আমরা জানতাম না, আমাদেরকে কিছু বলেওনি।
কুড়িগ্রাম থেকে রাজুর এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ছেলের মৃত্যুর খবর জেনেছেন।
ছেলের মরদেহ নেওয়ার জন্য চুয়াডাঙা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছেন বলেও জানান রাজুর বাবা।
রাজুর বন্ধু মোফাজ্জল জানান, যে তরুণীর সাথে রাজুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার বাড়ি নাগেশ্বরীতে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি তার বিয়ে হয়। এজন্য রাজু মানসিক ভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিল। গত রাতে তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কীভাবে তার মৃত্যু হলো তা আমরা বুঝতে পারছি না।
ওসি খান মোঃ শাহরিয়ার জানান, ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিচয়সহ তার মুত্যুর কারণ নির্ণয়ে আমাদের অফিসাররা তদন্ত করছে।