কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাটিথানা গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া খাতুন, টানাপোড়েনের সংসার তার ৬ ছেলে মেয়ের মধ্যে ৫ জনের বিয়ে হয়েছে, একটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে তার কাটে দিনগুলো। নেই নিজের জায়গাটুকু, থাকেন অন্যের দেয়া জায়গায়। অভাব অনটনের সংসার বিভিন্ন মানুষের দেয়া সাহায্য সহযোগিতায় খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিনগুলো। তাতেই আবার সাথে আছে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে। স্বামী মারা গেছেন অনেকদিন।বাকি ৩ ছেলে নিজেদের সংসার ঠিকভাবে চালাতে পারেন না। একটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন একই এলাকায় তার অবস্থাও ভালো না।
এ খবর সংযোগ কানেক্টিং পিপল এ জানালে সংযোগ আছিয়া খাতুনকে স্বাবলম্বী করতে এগিয়ে আসেন। অসহায় মানুষদের মুখের হাসি ফোটানো চুপ করে থাকতে পারে না। সংযোগ স্বেচ্ছাসেবক মোঃ রবিউল ইসলাম বিষয়টি সংযোগে জানালে সংযোগ দ্রুত
স্বাবলম্বী করার জন্য আছিয়া খাতুনকে ৫টি ছাগল কিনে দেয়। ছাগল পেয়ে আছিয়া অনেক খুশি। তিনি বলেন এই ছাগল থেকে ছাগল বাড়বে তখন ছাগল বিক্রি করে সংসারের অভাব কমাতে পারব।
আছিয়া খাতুনকে ছাগল পেয়ে সংযোগের সবার জন্য দোয়া করেছেন এবং তারজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি জেনো পাগল ছেলেটাকে নিয়ে ভালোভাবে দিনগুলো পার করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহকে বিষয়টি অবগত করলে উনি অনেক খুশি হয়ে বলেন, এভাবে সংযোগ কানেক্টিং পিপল দারিদ্র্য অঞ্চল চিলমারীর অসহায় মানুষদের পাশে সবসময় থাকবে। দারিদ্র্য অঞ্চল চিলমারীর অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাবে।
সংযোগ কানেক্টিং পিপল এর এরকম কার্যক্রমে এলাকাবাসী অনেক খুশি। এভাবে সংযোগ কানেক্টিং পিপল সবার বিপদে এগিয়ে আসুক এটাই সবার চাওয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংযোগ কানেক্টিং পিপল এর স্বেচ্ছাসেবক মোঃ সাফাকাত রাব্বি, রবিউল ইসলাম, শামীম আকতার, নুর আলম নাহিদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ