২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিতদের মধ্যে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার (৭ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশানা জারি করা হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় রাজস্ব খাতভুক্ত মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বন্টনের জন্য ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্যদি নমুনা ছক আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ তথ্য আগামী ১১ মার্চের মধ্যে সফট কপি ই-মেইলে (dd_plan@yahoo.com) এবং হার্ড কপি মাউশি’র মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে বলা হয়।
এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজস্ব খাত থেকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ জন্য আমরা সকল শিক্ষা বোর্ডে যোগ্য ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠাতে বলেছি। সেখান থেকে ১০ হাজার ৫০০ জনকে নির্বাচন করা হবে। তার মধ্যে মেধা কোটায় এক হাজার ১২৫ জন ও সাধারণ কোটায় ৯ হাজার ৩৭৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হবে। এ সংখ্যা ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ভাগ করে দেয়া হবে।
মাউশি জানায়, এইচএসসি পর্যায়ে মেধা কোটায় মাসিক ৮২৫ টাকা, তার সঙ্গে এককালীন এক হাজার ৮০০ টাকা এবং সাধারণ কোটায় মাসিক ৩৭৫ টাকা ও এককালীন ৭৫০টাকা দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হলে সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। বৃত্তি প্রদানে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ ধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আরও জানানো হয়, জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেয়া হবে। বোর্ডের আওতাধীন প্রতি উপজেলার দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আর মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানাতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে এলাকা কোটা অনুসারে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।