কুড়িগ্রামের চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরসহ পদদলিত করা, জাতীয় পতাকা ছিড়ে অবমাননা করার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ফরিদ, চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গয়ছল হক মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ২৮ মার্চ রাত ১০টায় ব্রহ্মপূত্র নদ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চিলমারীর কড়াই বরিশাল চরে অবস্থিত চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আমিনুল ইসলাম কাজী, আঙ্গুর মিয়া, সাদাকাত হোসেনসহ কয়েকশত মানুষ। এ সময় অফিসে অবস্থান করা চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল জলিল, আকবর আলী, রফিক মিয়া, চান মিয়া ও রফিকুল ইসলামসহ ৬ জনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। আক্রমণের শিকার ব্যক্তিরা প্রাণভয়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে।
আসামিরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরসহ জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটায়। এ সময় উত্তেজিত আসামিরা অফিসে সংরক্ষিত দুই শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার, সৌর বিদ্যুতের সরঞ্জামসহ ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, টেবিল, এলইডি টিভি, সিলিং ফ্যান, ডিস আকাশসহ ৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। ভাঙচুর ও তান্ডবলীলা শেষে আসামিরা জামায়াতে ইসলামের নামে স্লোগান দিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে ভবিষ্যতে এই বাজারে কেউ আওয়ামী লীগ অফিস স্থাপন করতে আসলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ চিলমারী মডেল থানায় মামলা করা হলেও এখনো আসামিদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।