ধরলা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে মুক্তি পেতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী।
শনিবার ৩ ই এপ্রিল দুপুরে কৃষ্ণপুর নামক স্থানে টানা ৩ ঘন্টা ধরে কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে নদীর বাম তীর রক্ষার্থে ও ভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে দ্রুত বাঁধ নির্মানের দাবিতে প্রতিবাদী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন,স্থানীয় রহুল আমীন,আমীর হোসেন এনামুল,শাওন,ইয়াকুব আলী,কেরামত আলী মেম্বার প্রমুখ ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর সিতাইঝাড়, কৃষ্ণপুর এখানকার স্কুল,মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান,কমিনিউটি ক্লিনিকসহ সরকারি বেসরকারি অনেক স্থাপনা নদীর মুখে পড়ে আছে।ইতিপূর্বে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা মসজিদ সহ হাজার হাজার একর জমি বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।মানুষের দুঃখ দূর্দশা দেখতে অনেকেই আসে।শুধু শান্তনাটুকু দিয়ে যায়। ছবি তোলে ফটো তোলে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। তাদের আশ্বাস আর শান্তনার বানী শুনেতে শুনতে হাজারো মানুষের বসতবাড়ী চলে গেছে নদীর মাঝে।সর্বশান্ত হয়ে অনেকে রাস্তার ধারে পরে আছে। এমন হতাশা আর ক্ষোভে কথাগুলো বলেছিলেন কৃষ্ণপুর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ কেরামত আলী।
এছাড়াও নদীর ভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বাসিন্দা ইউনূস মিয়া । তার মতো হাজারো মানুষ একত্রিত হয়ে ধরলা নদীর তীরে তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন নদীর তীব্র ভাঙনের হাত থেকে বাঁচার আকুতি নিয়ে ।
মাববন্ধনে অংশ নেয়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানান,বিগত বছরের ভাঙনে মসজিদ,বিদ্যালয় ,কৃষি জমি,ঈদগাহ মাঠ সবকিছু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ভাঙন প্রতিদিন আরো তীব্র হচ্ছে।দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এই এলাকায় বাঁধ নির্মানের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আমির হোসেন বলেন,” পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কয়েকবার এসে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছেন।কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কোন কাজের অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
উল্লেখ্য যে,জেলা সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ ওর্যাডের বাসিন্দা এই অঞ্চলে বসবাস করছেন । এলাকার ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কয়েকবার এলাকা পরির্দশন করে বাঁধ নির্মানের জন্য গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় চিঠি দিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত সেই কাজের কোন অগ্রগতি দেখা যায় নি।