হঠাৎ করে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন জন্মদাত্রী মা। যার চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগানো ও জীবিকার তাগিদ তাকে আর দেশে থাকতে দেয়নি। ১৯৯৯ সালে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান মাহবুব। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ শুরু করেন তিনি।
তিনি সেখানে দেখতে পান, অভিবাসী কর্মী হিসেবে প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হতে হয় প্রবাসীদের। এ সময় তিনি উপলব্ধি করেন নিজেদের জন্য গণমাধ্যম তৈরি করা অতীব জরুরি। প্রথম দিকে প্রবাসীদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করা শুরু করেন।
২০০৪ সাল থেকে ডকুমেন্টারির কাজ শুরু করেন মাহবুব। কারণ, কোরীয় মিডিয়া অভিবাসীদের কোনো সুযোগ দিচ্ছিল না। ‘দ্য রোড অব দ্য রিভেন্জ’ নামের শর্ট ফিল্মে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এটি ছিল এক ধরনের ব্ল্যাক কমেডি। পরে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন বড়পর্দার অভিনয়ে।
নায়ক মাহবুব বলেন, ‘অভিনয় বা চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল না আমার। পরিকল্পনা ছিল দুই তিন বছর কোরিয়া অবস্থান করে তারপর দেশে আসব। কিন্তু সেটা হয়নি। ঘটনাক্রমে যুক্ত হয়ে যাই চলচ্চিত্রে।’
মাহবুব অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে-‘মাই ফ্রেন্ড অ্যান্ড হিজ ওয়াইফ’, ‘হোয়ার ইজ রনি’, ‘পেইনড’, ‘পারফেক্ট প্রপোজাল’, ‘লাভ ইন কোরিয়া’, ‘আসুরাঃ দি সিটি অব ম্যাডনেস’ ও ‘ইউ আর মাই ভাম্পায়ার’। এখন পর্যন্ত পনোরোটির মতো কোরিয়ান নাটক,সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন তিনি । ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পুরস্কার নামে খ্যাত সেজং কালচারাল অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন মাহবুব।
আরো পড়ুন>>>>আসছে ১২ই মার্চ দিঘী অভিনীত “তুমি আছো তুমি নেই “চলচ্চিত্রের শুভমুক্তি
দুই বোন ও নয় ভাইয়ের বিশাল সংসারে বাবা এখনো বেঁচে আছেন। কোরিয়ান মেয়ে লি মিয়ংকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন এই কৃত্তিমান বাংলাদেশি।
তথ্য সুত্রcity News Dhaka