কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পুণ্যস্নানে জড়ো হয়েছিলো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজন।বসেছে পূন্যস্নানের চোর পুলিশ মেলা।
মঙ্গলবার(২০ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু হওয়া এই পুণ্যস্নানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষরা গত রাত থেকে ভীড় করতে শুরু করে চিলমারী বাজারের বিভিন্ন যায়গায়। ছিলোনা কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘স্নান করতে কোন অনুমতি দেয়া হয় নাই।
তবুও সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে পূন্য স্নানে জড়ো হয়েছিল এ সম্প্রদায়ের মানুষজন। অনেকের মুখে ছিলোনা মাস্ক,ছিলো না কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এই স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নানার্থে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তপদের আগমন ঘটে।তাদের বিশ্বাস এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের, এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। এই স্নানই অষ্টমী স্নান নামে অভিহিত।এছাড়াও অনেক পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের জন্য পিন্ডদান অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয় এদিন।
পূন্যস্নানে আশা প্রশান্ত রায়(২৪) জানান, ভীড় শুরু হয়েছিল ভোর থেকে। পুলিশ বাধা দিয়েছে মাটিকাটা মোড়ে। ঘাটে গিয়ে দেখি দুজন পুলিশ ছিলো। আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে নদীর পাড়ে এসেছি।তবে এবার ভীড় কম,অল্প সংখ্যক দোকান বসেছে কেননা পুলিশ এখানে আমাদের বেশিক্ষণ অবস্থান করতে দিচ্ছেনা। স্বল্প সময়ে স্নানের কাজ সেরে সবাইকে যেতে হচ্ছে।
এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান,উপজেলা প্রশাসন পুলিশের সহায়তা নিয়ে গতকালের রাত থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছিলো। আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। স্নানের উদ্দেশ্যে যারা আগে এসেছিলো তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং যারা ভোরে এসেছিলো তাদের নদীতে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমদের ফাঁকি দিয়ে কয়েক যায়গায় পূন্য স্নান হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলোনা।
চীলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,আমরা কঠোর অবস্থানে থাকার পড়েও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোথাও কোথাও স্নানের কাজ করতে পারে।তবে আমাদের প্রচেষ্টার কমতি ছিল না।