May 14, 2024, 5:45 am
শিরোনাম:
মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর মনোহরদীতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে অভিযান ১০টি ম্যাজিক জাল জব্দ মনোহরদী থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া পেলেন পিপিএম-সেবা পদক মনোহরদীতে ওকাপের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল শীর্ষক মতবিনিময় সভা মনোহরদীতে শীতার্তদের মাঝে মন্ত্রীপুত্রের শীতবস্ত্র বিতরণ

তিন শর্তে দুই জান্নাতকে বিয়ে করেন মামুনুল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২১
  • 433 দেখুন

কখনও স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়া যাবে না, সন্তান ধারণ করা যাবে না ও সম্পত্তির দাবিদার হওয়া যাবে না- এই তিন শর্তে দুই জান্নাতকে বিয়ে করেছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই দিয়েছেন তিনি। তবে সেই বিয়েতে দুইজন করে চাক্ষুষ সাক্ষী উপস্থিত থাকার কথা বললেও তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘তিন শর্তের বিনিময়ে তারা দুইজন মামুনুলকে শারীরিক সঙ্গ দেবেন। তার বিনিময়ে মামুনুল তাদের আর্থিক দায়িত্ব নেবেন- এমনটাই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল বলে মামুনুল হক আমাদের জানিয়েছেন।’

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ওই দুই নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছিলেন মামুনুল। জান্নাত আরা ঝর্ণা ও জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি দুজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ ছিলেন মামুনুল। তাদের অর্থিক সংকটের কথা জানতেন তিনি। সুযোগ বুঝে তাদের অনৈতিক প্রস্তাব দেন তিনি। বিনিময়ে তাদের প্রতিমাসে আর্থিক নিশ্চয়তা ও কাজের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথাও দেন মামুনুল। সে অনুযায়ী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে রাজধানীর একটি বিউটি পার্লারে ও জান্নাতুল ফেরদৌস লিপিকে মোহম্মদপুরের একটি মাদরাসায় চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মামুনুল।
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ধারণা, সাহায্য করতে নয়, তার নারী আসক্তি ও চারিত্রিক স্খলন থেকেই এমনটা করেছেন মামুনুল হক। দুই কথিত স্ত্রী আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে তারা যদি অভিযোগ দেন আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

ইসলামে একাধিক স্ত্রী রাখার সুযোগ থাকলেও কোনো স্ত্রীর সঙ্গে বৈষম্য না করার শর্ত আছে। কথিত চুক্তিতে যেসব শর্তের কথা তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সেটি ইসলামি শরিয়াহ সম্মত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ, কোরআনে একাধিক বিয়ে করার কথা যেখানে বলা আছে, সেখানে স্পষ্টতই কোনো স্ত্রীর সঙ্গে বৈষম্য না করার কথা বলা আছে।
কিন্তু এই চুক্তি সত্য হলে তাইয়্যেবার তুলনায় ঝর্ণা ও লিপির সঙ্গে মামুনুল স্পষ্টত বৈষম্য করেছেন। তিনি এই দুইজনকে কেবল সম্পত্তি থেকে নয়, মাতৃত্ব এবং স্ত্রীর পরিচয় থেকে বঞ্চিত করেছেন। অথচ গত ৮ এপ্রিলের লাইভে মামুনুল দাবি করেন, তিনি তার কথিত স্ত্রীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেননি। তাদেরকে কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি।
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমি একাধিক বিবাহ করে যদি আমার স্ত্রীদেরকে কোনো অধিকার বঞ্চিত করে থাকি, তাহলে তারা অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ করতেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি কোথাও দেখাতে পারবেন যে, আমার কোনো স্ত্রী কোথাও আমার বিরুদ্ধে এতটুকু অভিযোগ করেছে’?
গত ৩ এপ্রিল ঝর্ণাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে যান মামুনুল। স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হওয়ার পর তিনি তাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে বলেন, দুই বছর আগেই বিয়ে করেছেন তারা।
তবে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম গোপন করেন তিনি। রিসোর্টের রেজিস্ট্রার বইয়ে ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন, সঙ্গিনীর নাম আমিনা তাইয়্যেবা। বাবার নাম জাহিদুল ইসলাম আর বাড়ি খুলনায়। পরে প্রকাশ পায় আমিনা তাইয়্যেবা হেফাজত নেতার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর নাম। রিসোর্টের সঙ্গিনীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102