কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চৎলাকান্দা গ্রামের মৃত আ. মজিদ দর্জির স্ত্রী অহিলা বেগম (৬০) নামের এক কৃষানির ৩৯ শতাংশ বর্গাকৃত ফসলি জমিতে বিষ প্রয়োগ করে ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আসকের হাজ্বীর ছেলে মোন্তাজ আলী (৫৫) গং এর বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর ভাই আইয়ুব আলী (২৮) বাদী হয়ে মোন্তাজ আলীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাউসমারী/২০ মৌজার ২৪৭ খতিয়ানের ৬২০ ও ৬২৫ দাগের ৪৯ শতাংশ জমি তফশিল বর্ণিত ভাজন হাজ্বীসহ ৩ জনের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। জমিটি মোন্তাজ আলীর বাড়ির পাশে হওয়ায় কয়েকবছর যাবৎ ওই জমি নিয়ে মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করায় এবং একাধিকবার সে হেরে যায়। এছাড়াও জমিটিতে ফসল ফলালে গরু-মহিষ দারা ফসল নষ্ট করে দেয়। বর্তমান ওই জমিতে রোপনকৃত ব্রি-২৮ ধান কয়েকদিন যাবৎ নষ্ট করে দেয়ার কথা বলাবলি করছিল। ইতিমধ্যে উক্ত ধান পাক ধরায় ১০-১২ দিন পর ঘরে ফসল তুলবে বলে ভাবছিল। কিন্তু বিবাদীগণ ১৯ এপ্রিল রাতে ৩৯ শতাংশ জমির সমস্ত ধান স্প্রে মেশিন দিয়ে বিষ প্রয়োগ করে সমস্ত ধান নষ্ট করে দেয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা।
এব্যাপারে অহিলা বেগম আরও বলেন, আমি খেয়ে না খেয়ে তৈল, সার ও বীজ ক্রয় করেছি। তার শত্রুতা আমাদের সাথে কিন্তু এই ফসল কি দোষ করেছিল?
অভিযুক্ত মোন্তাজ আলী বিষ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের সাথে জমা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের পারিবারিক কলহ চলছে। তারা নিজেরাই জমিতে বিষ প্রয়োগ করে আমাদের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবুল মিয়া জানান, ওই জমিতে বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, জমির ফসল নষ্ট করা চরম অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।