করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনে সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মতো কুড়িগ্রামেও শুরু হয়েছে আন্ত:জেলা বাস চলাচল।তবে যাত্রী শূন্যতায় কাটছে বাস মটর শ্রমিকদের।ঘন্টর পর ঘন্টা বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে আছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরগামী বাসগুলো রাজারহাট উপজেলার বড়বাড়ী এলাকার মোস্তাফি মোড় পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যান্তরে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে।
তবে এসব রুটে বাস চললেও যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে খুব একটা দেখা যায়নি।অনেকের মুখে ছিলনা মাস্ক, দেয়া হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ভাইরাস প্রতিরোধক।
জেলা মটর মালিক সমিতির সদস্য আবু তাহের বলেন,যাত্রীদের মাস্ক পড়তে বলা হলেও কিছু মানুষ পরেননি। সেখানে আমাদের করার কী আছে। এছাড়া আমাদের সুনির্দিষ্ট বাস স্টপেজ না থাকার কারনে বাস চলাচল সমস্যা হয় এবং যাত্রী সংকট রয়েছে। তাই বাস চলাচল করা সম্ভব হবেনা বলে জানান তিনি।
রংপুর জেলাগামী যাত্রী মেরিনা পারভীন বলেন,আমার ছেলে অসুস্থ। একমাস পরে বাস চলাচল করার কথা শুনে আসলাম।কিন্তু বাস নাকি ৬০ কিঃমিঃ রংপুর যেতে দুই তিন জায়গায় বাস বদল করতে হবে। আমি নিজেও অসুস্থ কিভাবে রংপুর পৌছিবো জানি না।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো:শাহরিয়ার জানান,আমরা মালিক,চালক ও হেল্পারদের সচেতন করতে কাজ করছি। তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে যাতে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করা না হয় সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে,সকাল থেকে জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীন অল্প কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। রংপুরগামী কয়েকটি বাসে দুই সিটে একজন করে যাত্রী বসানো হলেও ভাড়া বর্ধিত হারে আদায়ের অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী।অপরদিকে,যাত্রী কম হলে তেলের দামও উঠবেনা বলে চালকরা জানান। এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চেক পোষ্ট কয়েকটি জায়গায় বসানো হয়েছে।সেখানে কঠোরভাবে পুলিশ স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চলাচলে পর্যবেক্ষণ করছে।তবে এ অবস্থায় যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট চালক ও হেলপাররা পড়েছেন বিপাকে। যাত্রী কমে যাওয়ায় তেলের দামই উঠবেনা বলে জানান।
জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মো:লুৎফর রহমান বকসী জানান,আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে চাই।এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি যাতে তিস্তা সেতুর পাশে আমাদের অস্থায়ী বাস স্ট্যান্ডের সুযোগ করে দেয়া হয়। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে সকাল থেকে যাত্রী কম হওয়ায় রংপুরগামী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়াও যাত্রী থাকলেও রাস্তায় থ্রি হুইলার জেএসসহ অটোরিকশা কারনে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে যাত্রীরা ওসব যানবাহণে যাচ্ছেন বেশি।ফলে বাসে চলাচল তেমন নয় বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো:রুহুল আমীন বলেন,জেলায় ৪টি চেক পয়েন্টে যান চলাচলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেউ যাতে জেলার বাইরে বাস চলাচল করে যেতে না পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কোনভাবেই যাতে বিঘ্নিত না হয় সেটি কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে।