সকল বাধা-বিপত্তি ও দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সম্মেলনের ১৬ মাস পরে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি চুড়ান্ত হয়েছে। ত্যাগী, বঞ্চিত, সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ, রাজপথ ছেড়ে ঘরে ঢুকে পড়া নেতাদের ডেকে এনে পদপদবী দেয়ায় খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে আওয়ামী পরিবারে।
নবীন ও প্রবীণদের সমন্বয়ে গঠিত প্রস্তাবিত কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়েছে। চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য কমিটির পদপদবী পাওয়া নেতাদের নাম দেখে আওয়ামী লীগ পরিবার সহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল পেশার লোকজনের দেয়া অভিনন্দন আর শুভেচ্ছায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সকল দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্যদের নিয়ে কমিটি চুড়ান্ত করায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিক ও কেন্দ্রীয় নেত্রী এডভোকেট সফুরা বেগমকে স্যালুট জানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনন্দন আর ভালবাসা অব্যাহত রেখেছেন কুড়িগ্রামের নানান শ্রেণী পেশার লোকজন।
অতীতের সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে স্বমহিমায় উজ্জীবিত হবে আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আমজনতার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কুড়িগ্রাম জেলাশাখা। এমন প্রত্যাশা করে জেলা কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রবীন সাংবাদিক ও কুড়িগ্রাম খবরের সম্পাদক এস এম ছানালাল বকসী। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন আহমেদ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন দীর্ঘদিন পরে হলেও কুড়িগ্রামের বিবাদমান আওয়ামী লীগ এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করবে। এমন প্রত্যাশা করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন দ্রুত কমিটি অনুমোদনের দাবি করেছেন।
উল্লেখ, গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে দফায় দফায় আলোচনা হলেও সমঝোতা হয়নি।। গত ২৬শে মে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে দু’দিন ব্যাপী নেতাদের নিয়ে আলোচনা করে ৭৫ সদস্য কমিটির নাম চুড়ান্ত করতে সক্ষম হোন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিক ও কেন্দ্রীয় নেত্রী এডভোকেট সফুরা বেগম। এর একদিন পর বগুড়ার একটি হোটেলে বসে রাতভর আলোচনা করে ৭৫ সদস্যের কমিটির পদপদবী চুড়ান্ত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদ্বয় সাক্ষর করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। চুড়ান্ত অনুমোদন হলেই বাস্তবে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠন হবে কুড়িগ্রাম আওয়ামী লীগ। মেধাবী, দক্ষ, বঞ্চিত, তারুণ্যদীপ্ত নবীন প্রবীণদের জোটবদ্ধ শ্লোগানে মুখরিত হবে রাজপথ। বাস্তবায়ন হবে বাংলার মমতাময়ী মা, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নময়, স্বপ্নিল,স্বপ্নের আলোকিত কুড়িগ্রাম।