চলতি বছরর আগাম বষ্টির ছাঁয়ায় চা-গাছ এসছ নতুন কুঁড়ি। প্রাণ ফির পয়ছ হবিগঞ্জ জলার মাধবপুর উপজলার ৫টি চা-বাগান। আগাম বষ্টি হওয়ায় উপজলার সবগুলা চা-বাগান চায়র বাম্পার ফলন হব বল আশা প্রকাশ কর লক্ষ্যমাত্রা পূরণর সম্ভাবনার কথা জানিয়ছন চা-বাগান সংশ্লিষ্টরা। প্রচন্ড শীত উপক্ষা কর চা-শ্রমিকরা দ্রæত কাটিং (ছাঁটাই) কাজ করায় আগাম বষ্টি উপকারী হয়ছ চা-গাছগুলার জন্য। গত সপ্তাহ ৩-৪ দিন ধর বষ্টিপাত হয়। ফল এ বষ্টি উপযুক্ত সময় হওয়ায় চা-গাছ আগভাগই গজাছ নতুন কুঁড়ি। এই বষ্টি রবিশস্যর জন্য কিছুটা ক্ষতির কারণ হলও চা-বাগানর জন্য তা খুবই প্রয়াজনীয়।
জানা যায়, ডিসম্বর-জানুয়ারি মাস থকই প্রতিটি চা-বাগান করা হয়ছিল চা-গাছগুলাক ছাঁটাইয়র (কাটিং) কাজ। টানা ৪ মাস পর এখন মসুমর প্রথম বষ্টিপাতর ফল কাটিং করা গাছ কুঁড়ি গজাত শুরু করছ। আর চা-পাতার কুঁড়ি আগ গজানায় আগ পাতা তালা শুরু হব। জগদীশপুর চা বাগানর সহকারী ব্যব¯াপক সনদ কুমার দত্ত বলন, চায়র উৎপাদন বাড়ানার জন্য প্রধানত য জিনিসটির প্রয়াজন তা হলা বষ্টি। সময়মতা বষ্টি হওয়ায় কাটিং করা গাছগুলা বষ্টির পানি পয় আগ-ভাগ কুঁড়ি ছাড়ত শুরু কর। এত এ বছর চায়র উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দখা দিয়ছ। বাংলাদশ চা-বার্ড সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সাল দশর ১৬৬টি চা-বাগান ৫ কাটি ২১ লাখ কজি চা উৎপাদন হয়ছ। যা দশর ইতিহাস দ্বিতীয় সর্বাচ উৎপাদন। এত উৎপাদনর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ছিল ৩ কাটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার কজি। লক্ষ্যমাত্রার চয় প্রায় ৩০ লাখ কজি চা বশি উৎপাদন হয়। এর আগ ২০১৭ সাল ১৫০ বছরর চায়র ইতিহাস প্রথম সর্বাচ ৪ কাটি ৫০ লাখ কজি চা উৎপাদন হয়ছিল। তখন বছরজুড় চা চাষর অনুকূল প্রাকতিক পরিবশ বজায় ছিল। তব এই উৎপাদনর ধারা ধর রাখত না পারায় ২০১৭ সাল চা উৎপাদন কম দাঁড়িয়ছিল ৭ কাটি ৮৯ লাখ কজিত। গত তিন বছর চায়র গড় উৎপাদন ছিল ৮ কাটি ২০ লাখ কজি। বর্তমান দশ ৫২ হাজার হক্টর জমিত চা চাষ হছ। ২০১২ সাল হয়ছিল ৫০ হাজার হক্টর জমিত। বিশ্ব চা উৎপাদন বাংলাদশ এখন নবম ¯ান অব¯ান করছ। ২০১৭ সাল ছিল দশম ¯ান। আর ২০১৫ সাল ছিল ১২তম ¯ান। ২০২০ সাল চায়র উৎপাদনর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫.৯ মিলিয়ন কজি। করানার প্রতিকূলতার মাঝও উৎপাদন দাঁড়ায় ৮৬.৩ মিলিয়ন কজিত। যা লক্ষ্যমাত্রার চয় প্রায় ১০ মিলিয়ন কজির বশি। তব এ উৎপাদন ২০১৯ সালর উৎপাদন থক ৯.৬৮ মিলিয়ন কজি কম। এবার চলতি মসুম ২০২১ সালর চা উৎপাদনর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছ ৭৭.৭৮ মিলিয়ন কজি।
ন্যাশনাল টি কাম্পানির মাধবপুর সুরমা চা-বাগানর সহকারী ব্যব¯াপক দওয়ান বাহাউদ্দিন খান লিটন বলন, ‘আমরা প্রতিবছর শুকনা মসুম চা-বাগান প্ল্যাটশন এলাকায় পাইপ লাইন ইরিগশনর মাধ্যম সচ দিয় থাকি। এত খরচ বড় গলও চা-গাছ ঠিক রাখত এ ব্যয় বহন করত হয়। আগাম বষ্টির ফল এ বছর চায়র উৎপাদন আরও ভাল হব।’এ সম্পর্ক বাংলাদশ চা গবষণা ইনস্টিটিউটর (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মাহাম্মদ আলী জানান, আগাম বষ্টি চায়র উৎপাদন বদ্ধিত কাজ আসব। চলতি মসুম ৩৫.৭৮ মিলিয়ন কজি চা উৎপাদনর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছ। তব প্রয়াজনীয় বষ্টিপাত, অনুকূল আবহাওয়া, পাকা-মাকড়র আক্রমণ ও খরার কবল না পড়ল চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম কর ৪৩ মিলিয়নর অধিক চা-পাতা উৎপাদন করা সম্ভব বল তিনি মন করন। জগদীশপুর চা বাগানর সহকারী ব্যব¯াপক সনদ কুমার দত্ত বলন, চা বাগান বালিযুক্ত দাআঁশ মাটি হওয়ায় পানি অনক দিন ধর রাখত পার না। অনুকূল আবহাওয়া থাকল চা বাগান হাস্যাজ্জ্বল মুখর হয় থাক। সময়মত বষ্টিপাত না হল কত্রিম ভাব পানি দিলও বষ্টিপাতর মতা অনক কার্যকর হয় না। সম্প্রতি বষ্টিপাত হওয়ায় আশানুরুপ চা পাতা উত্তালন হব বল আমাদর ধারনা।