কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কৃষক আক্তার আলীর বাড়ির গোয়াল ঘরে থাকা ৫টি গরু, ২টি হাঁস, ৩টি মুরগিসহ গোয়াল ঘরের এক পার্শ্বে গোলায় থাকা ধান পুড়ে আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) গভীর রাতে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
রোববার (৬ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষক আক্তার আলীর ভাই মামুন মিয়া।
ভাই মামুন মিয়া ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গোয়াল ঘরে গরু রেখে ঘুমিয়ে পড়েন কৃষক আক্তার আলী ও তার পরিবার। গভির রাত দিকে গোয়াল ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে তার পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভাতে চেষ্টা শুরু করেন। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় গোয়াল ঘরের ভেতরে থাকা অন্তঃসত্ত্বা একটি গরু সহ পাঁচটি গরু, ২টি হাঁস, ৩টি মুরগী ও গোয়াল ঘরের এক পার্শ্বে গোলায় থাকা ধান পুড়ে যায়। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় দুই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা গেলেও গোয়াল ঘর ও গোয়াল ঘরে থাকা কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মামুন মিয়া আরও বলেন, এতে কৃষক আক্তার আলীর আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আক্তার আলী নিঃস্ব হয়ে গেল। এতে সে পথে বসে গেল। গরু পালন করে সে তার পরিবারের সদস্যদের অনেক সাপোর্ট দিতো। এখন সে উপায়টুকু আর থাকলো না। এখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে রয়েছে।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আক্তার আলী একজন অসহায় কৃষক। গবাদি পশু গুলি লালন পালন করে তার পরিবার অনেক উপকৃত হতো। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার গোয়াল ঘর সহ গবাদি পশু ও গোলায় থাকা ধান পুড়ে আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে সে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আমি রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা খবর পাওয়া পর দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই। প্রায় আধা ঘণ্টা কাজ করেছি আমরা। বিদ্যুৎতিক সট সার্কিটের কারণে ওই কৃষকের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে গরু, মুরগিসহ ঘরে থাকা গোলার ধান পুড়ে গেছে।