November 24, 2024, 5:34 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

মাদকের নেশায় ধ্বংস ঢাবির মেধাবী ছাত্র এখন-মেন্টাল হামিদ।

তাপসকর ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : রবিবার, জুন ২৭, ২০২১
  • 214 দেখুন

পুরো নাম মো. আব্দুল হামিদ। বড় হয়েছেন বেশ আদরে। ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। মেধাবী ছেলেটি পরিবারের স্বপ পূরণের পথেই হাঁটছিল। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে বড় কিছু হবেন।
মেধাবী আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৪-৮৫ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাউরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। শুধু তাই নয়, তিনি উপজেলায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান তিনি। এসএসসিতেও প্রথম বিভাগ (স্টার মার্ক) পেয়ে বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন ১৯৮২ সালে।
পরে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন এবং লাভ করেন শিক্ষাবৃত্তি। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফিতে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালেই পরিবারে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ও ভাইদের কর্মসংস্থানের জন্য ‘মা মৎস্য ফিসারিজ’ পুকুর খননের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ভাইয়েরা তাকে ভুল বোঝেন। জমি নিয়ে বিভেদের জেরে নানা অজুহাতে তার উপরে নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতন।
হঠাৎ মাদকের নেশা পেয়ে বসে তাকে। সেই ‘মাদকঝড়ে’ সম্ভাবনার সব পথ হারিয়ে ফেলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাটা তার পক্ষে আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। হয়নি বড় হওয়ার স্বপ্ন পূরণ। এখন পাগলের মতো অসংলগ্ন আচরণ করেন হামিদ। বিয়ে করলে মাথা ঠিক হয়ে যাবে এ আশায় তাকে বিয়ে করালেও তিনি এখন ছন্নছাড়া জীবনযাপন করছেন।
তিনি এখন এলাকায় ‘মেন্টাল হামিদ পাগলা’ নামেই পরিচিত। পরিবারের খোঁজ রাখার সময় নেই তার। তিনি চলেন আপন মনে। অসংলগ্ন আচরণের কারণে এলাকাবাসী তাকে পাগল বলেই চেনেন। শত চেষ্টা করেও তাকে নেশা থেকে ফেরাতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। আর এই সুযোগে তার জমি দখলে নিয়েছেন অন্য ভাইয়েরা।
সহায়-সম্বল হারিয়ে ভবঘুরে এই মেধাবী ছেলেটি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের মেসিডেঙ্গি গ্রামের এমডি সাবুদ আলীর ছেলে তিনি।
আব্দুল হামিদ আফসোস করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা পড়াশোনা করতো ওরা তো এখন কেউ সচিব, ব্যারিস্টার, এমপি-মন্ত্রীও হয়েছে। যাদেরকে হলে সিট দিলাম, ওদের অনেকেই এখন দেশের পদস্থ কর্মকর্তা। আর আমারে লোকজন মেন্টাল হামিদ পাগলা বলে ডাকে। বহুবার নেশা ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কয়েকবার ছেড়েও দিয়েছে। কিন্তু শেষমেশ আর ছাড়তে পারি নাই। আমার মাথাটা এখন ঠিক নাই, চিকিৎসা দরকার। নেশা শুধু আমারে খাইছে না; আমার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। স্ত্রী-সন্তান, ছোট বোন, মা কারো জন্যই তো কিছু করতে পারলাম না। মাদকের নেশায় ছারখার হয়ে গেছে আমার পরিবার।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102