November 24, 2024, 6:45 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

মাধবপুরে মহামারির প্রভাব পানের হাটে

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, জুন ২৮, ২০২১
  • 206 দেখুন

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পরিবহন সংকট ও হাটবাজারে ক্রেতা সমাগম না হওয়ায় পানের দাম কমে গেছে। এতে পান নিয়ে বিপাকে পড়েছে মাধবপুরের পান ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ বইতে শুরু করায় কঠোর লকডাউন দিয়েছে প্রশাসন। যে কারণে হাট বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে বেপারীরাও আর আসছেন না। চাষীরা স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে পান আমদানী করলেও ক্রেতার অভাবে সেগুলো তারা ফেরত নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার তিনশত হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। উপজেলার ধর্মঘর, মনতলা, শাহজিবাজার, বাঘাসুরা ইউনিয়নে পানের আবাদ হয়েছে। শাহজিবাজার পান সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার পান রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হয়ে থাকে। উপজেলার প্রায় সব হাটে পান বেচা কেনা হলেও শাহজিবাজার হাট পানের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে এসব হাটে পানের দাম তিন ভাগের একভাগ কমে গেছে। পান চাষীরা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন কিছুদিন আগে প্রতি বিড়া বড় পান (৮০টি) ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে একবিড়া বড় পানের দাম একশ টাকার নিচে নেমে এসেছে। এছাড়া ছোট একবিড়া পান আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২০ থেকে ২৫ টাকায় নেমে এসেছে। বেশ কয়েকজন পানচাষী জানান, পান চাষ থেকেই আমাদের পরিবারের ভরপোষণ করছিলাম। এখন লকডাউনের কারণে পানের দাম না পেয়ে বড়ই বিপদে আছি। করোনায় জীবনের ঝুকি নিয়ে পান বাজারে আনলেও ক্রেতার নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নিরুপায় হয়ে পানির দরে অনেকে পান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আরেক পানচাষী মজিদ জানান, পানের ফলন এবার ভালোই হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কম। সবমিলিয়ে পানের বাজার এখন খুবই খারাপ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাছান বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বেড়ে যাওয়ায় পানচাষীরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। তবে জরুরী কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই। তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে স্থানীয় চাষীদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102