পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এ নদীর পানি। এরপর বিকাল ৩টার পর কিছুটা কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ৬ জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারী জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ছয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বার্তায় জানানো হয়েছে। সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তা ও ধরলা নদী অববাহিকা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। পাশাপাশি শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাত ১টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।