October 19, 2024, 8:36 am
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ভাগিনাকে স্বামী দাবী করে খালার মামলা ঘরছাড়া ভাগিনা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১
  • 214 দেখুন

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ভাগিনাকে স্বামী দাবী করার এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। তবে এ দাবী অস্বীকার করেছে কথিত সম্পর্কে ভাগিনা এরশাদ। এছাড়াও তাকে ফাঁসাতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও দাবী ভাগিনার।

অপরদিকে খালা থেকে স্ত্রী দাবী করা ওই নারী বাদী হয়ে এরশাদ ও এরশাদের পরিবারকে আসামি করে ১৫ জুলাই কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করছেন বলে বাদী ও কচাকাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি শকুনটারী গ্রামে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভেল্লিকুড়ি চর ভূরুঙ্গামারীর মৃত নজরুল ইসলামের কন্যা নাজমু (ছদ্মনাম) (২৯) উপজেলার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি শকুনটারী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে এরশাদুল হক (২৭) এর সাথে চলতি বছরের ২৭ জুলাই ১০ লাখ টাকা কাবিন মূলে ইসলামি শরীয়া মোতাবেক তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা দুজনেই কুড়িগ্রামের এক ভাড়া বাসায় থাকতো। এক পর্যায়ে ১৮ জুন এরশাদুল হক তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে নিজ বাড়িতে চলে আসে। পরে ২০ জুন সাড়ে ১২ টার দিকে এরশাদুলের বাবা মজনু মিয়া নাজমুর কাছে ৮ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে এবং টাকা না দিলে ছেলেকে অন্যখানে বিয়ে দিবে বলে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়।

অবশেষে স্বামীর দাবীতে ২২ জুন এরশাদুলের বাড়িতে এলে এরশাদুলের পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলেও মামলার এজহারে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে এরশাদুল হক বলেন, আমাকে মিথ্যা ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার বাবা ওই মহিলা কাছে যৌতুকের টাকা চাইবে কেন? তার সাথে আমার কোনো বিয়েই হয়নি। ওই মহিলার দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে তো প্রায় আমার সমান। তাকে বিয়ে করার প্রশ্নেই আসে না। আসলে তাকে কেউ বিয়ে করা লাগে না। ও যাকে খুশি তাকে স্বামী দাবী করে বিয়ের ভূয়া কাবিনে মোটা অংকের টাকা তুলে শেষে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে তাকে বিপদে ফেলে টাকা আদায় করে। এটা তার ব্যবসা।

এরশাদুল হক আরও জানান-ওই মহিলার প্রথম বিয়ের স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব অল্প দিনের মধ্যে আরও দুটি বিয়ে হয়। তার একটি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উলিপুর থানার পূর্ব নাওডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইদুল ইসলামের সাথে। এ বিয়েটি দুইজন স্ত্রী-সন্তান গোপন এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর নাজমু নিজেই তালাক দেয় এবং পরবর্তীতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভূরুঙ্গামারী থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ১৫। সে মামলায় ওই মহিলা আমাকে ভাগিনা উল্লেখ করে করে আমাকে স্বাক্ষী পর্যন্ত বানিয়েছে।

অপর বিয়েটি হলো চর ভূরুঙ্গামারীর মৃত শুকুর আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন এর সাথে। বিয়েটি২০২৯ সালের ১৭ নভেম্বর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিট এর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেন মোহর করে বিয়ে করে করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নাজমু এরশাদুলের সাথে বিয়ের কাবিননামায় নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা দাবী করলেও আসলে তিনি জয়নাল আবেদীন কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত নন এমনকী নাজমু কর্তৃক কোনো তালাকের কাগজ এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন জয়নাল আবেদীন।

তালাকে বিষয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রায় দু’বছর আগে নাজমার সাথে আমার বিয়ে হয়। ওর এবং আমার বিয়ের বিষয়ে এলাকার সবাই জানে। তার নামে জমিও লিখে দিছি। এই তো গত জুন মাসে আমার কাছে কাজের কথা বলে এক লক্ষ টাকা নিল। টাকা নেয়ার পর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আজও তালাকের কোনো কাগজপত্র পাইনি।

এরশাদুল হক সম্পর্কে নাজমা খাতুন বলেন, ধর্মীয়ভাবে এরশাদুল হকের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। এ বিষয়ে সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে।

কচাকাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলার পুলিশ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102