কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকেন্দার-আফরোজা দম্পতির কোলে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। ওই দম্পতি মোগলবাসা ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ওই দম্পতি কুড়িগ্রামে একটি ডায়গোনেস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করে জানতে পারেন তার গর্ভে দুই মাথা বিশিষ্ট একটি সন্তান রয়েছে।পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গত শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখানে সিজারের মাধ্যমে ওই দম্পতি দুই মাথা বিশিষ্ট এক নবজাতকের জন্ম দেয়। নবজাতক ও তার মা সুস্থ রয়েছেন। সেকান্দার আলী (৩২)পেশায় একজন মুদির দোকানি।
প্রতিবেশি জাহিদ হাসান বলেন,আফরোজা বেগম (২২)একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গর্ভের সন্তান পরিক্ষা করে জানতে পারেন তার গর্ভে দুই মাথা বিশিষ্ট বাচ্চা রয়েছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জন্মদেন ওই মা। তাদের এটাই প্রথম সন্তান।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আল আমিন মাসুদ বলেন, কনজয়েনটুইং এর কারনে এমন বাচ্চা ভূমিষ্ট হয়। পকেননা মায়ের পেটে ভ্রন অনেক সময় বৃদ্ধি হওয়ার কারনে তা আলাদা হতে পারে না।এ কারনে গর্ভে দেহ এক থাকলেও মাথা আলাদা হয়।এ বাচ্চাগুলোর জন্য জটিল অস্ত্রপাচারের প্রয়োজন হয়।
মোগলবাসা বাসা ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার ওর্য়াডের মুদি ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলীর স্ত্রী রংপুর মেডিকেলে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান ও সন্তানের মা সুস্থ আছেন বলে জানতে পেরেছি।