ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম আ. সবুর (৩০)। ঘটনার দীর্ঘ আট বছর পর এ রায় দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আ.সবুর কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল গ্রামের আ. নূরের ছেলে। সাজা ঘোষণার সময় সে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি আ. সবুর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। ২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে আ. সবুর ওই ছাত্রীকে বেশি সময় ধরে প্রাইভেট পড়ানোর পর রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পথিমধ্যে একটি বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রকাশ করলে ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় সবুর। রাতে ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে কিছু না বললেও পরের দিন সকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সবুরকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার বিকালে বিচারক আসামি আ.সবুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।
এই মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ।